কিভাবে তার এই অদ্ভুত অভ্যাসের শুরু প্রশ্ন করতেই সুকুমার দাস জানান, "ছয় বছর বয়স থেকে এসব তার অভ্যাস। এত কিছু খেলেও তার সবই হজম হয়ে যায়। এগুলো থেকে তার কোন রকমের শারীরিক সমস্যা হয় না। " তবে শুধু কোচবিহারেই নয়। কোচবিহারের পাশাপশি অসম, নেপাল, ভুটান, নাগাল্যান্ড, মণিপুর সহ আরও অনেক জায়গায় এই শো দেখানো হয়েছে। বারো বছর আগেও তিনি একবার কোচবিহারের রাসমেলায় শো দেখাতে এসেছিলেন। তাই এবার মিলে মোট দুবার কোচবিহার রাসমেলায় শো দেখাচ্ছেন তিনি। তবে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি ওনার শো দেখানোর ধরনের। তবে তাবুর বাইরে লাগানো আকর্ষণীয় সমস্ত ছবি দেখেই সকলে আকৃষ্ট হয়ে ঢুকে পড়ছেন শো দেখতে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুই মেগার জয়জয়কার, শুরুতেই বাজিমাত নিম ফুলের মধুর! ভাগ্য ফিরল মিঠাইয়ের
শো দেখে বেরোনোর পর জিয়াউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, "এটা সত্যি অবাক করা বিষয়। এত কিছু এই ভাবে খেয়ে, কি করে ঠিক থাকছেন ওই ব্যক্তি। যেভাবে কাঁচা মাছ থেকে শুরু করে সবজি সব খাচ্ছেন। তাতে তো ওঁর সমস্যা হওয়া উচিত। তবে ওই ব্যক্তি দিব্য খেয়ে ফেলছেন সব। ভাবতে অবাক লাগে যে টিউবলাইটের কাচ পর্যন্ত খেয়ে হজম করে ফেলছেন। মানে ওঁর পেটের হজম শক্তি কতখানি সেটা সত্যি একটা অদ্ভুত বিষয়। " তবে কোচবিহার জেলার অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী রাসমেলায় এবার ঘুরতে আশা প্রায় সকল পর্যটকদের মন আকর্ষণ করছে সুকুমারের প্রতিভা।
Sarthak Pandit