কোচবিহারের এক প্রবীণ নাগরিক আনন্দজ্যোতি মজুমদার জানান, “কোচবিহারের মহারাজাদের সঙ্গে ইংরেজদের বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। মূলত, সেই কারণেই কোচবিহার রাজারা ইংরেজদের সরাসরি বিরোধিতা করেননি। তবে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটে। রেড ফোর্টের মধ্যে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন ভারতের তেরঙা পতাকার। তবে তৎকালীন কোচবিহার রাজার রাজ্য কোচবিহার স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়নি সেই সময়। পরবর্তী সময়ে স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় মার্জার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে কোচবিহার রাজ্যের স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। মোট নয়টি পয়েন্ট নিয়ে এই মার্জার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয় ১৯৪৯ সালের ২৮ আগস্ট। তবে আবার ৩০ আগস্ট সেই এগ্রিমেন্টের স্ক্রুটিনি করা হয় এবং তখন মোট ১৪টি পয়েন্ট করা হয় এগ্রিমেন্টের মধ্যে।”
advertisement
আরও পড়ুন: মাটির বাড়ি, চায়ের দোকান থেকেই চলে সংসার যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত মনোতোষের
তিনি আরও জানান, “যদিও মার্জার এগ্রিমেন্ট উল্লেখ করা ছিল যে, কোচবিহার রাজ্য স্বাধীন ভারতের একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রূপে ভারতের অংশ হবে। তবে পরবর্তী সময়ে কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলা ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বর্তমানে তাই কোচবিহারকে সবাই একটি জেলা রূপেই দেখতে পাচ্ছে। এছাড়াও কোচবিহারের রাজ পরিবারের সদস্যের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বার্ষিক অর্থ প্রদান করা হত সেই সময়। সেই অর্থের পরিমাণ নেহাত কম ছিল না সেই সময়ের হিসেবে। তবে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট কোচবিহারের বুকে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলনের বিষয় নিয়ে কোন প্রামান্য নথি পাওয়া যায়নি। তাই একপ্রকার বলা সম্ভব যে সেই দিন হয়তো কোচবিহারের মধ্যে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।”
Sarthak Pandit