স্থানীয় সূত্রে খবর,"মঙ্গলবার রাতে মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের ঘোকসাডাঙা খোপাডুলি এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তী বর্মণ উচ্চ রক্তচাপ ও গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক নড়চড়ার সমস্যা নিয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পরেই বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ তড়িঘড়ি সন্তান প্রসবের জন্য সিজার করা হয় তাঁর। সিজারের মাধ্যমে ২ কেজি ৭৩০ গ্রাম ওজনের কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।"
advertisement
তবে সিজারের পরেই জটিল পরিস্থিতি চিকিৎসকদের নজরে আসে। প্রসূতি মায়ের বাম জরায়ুতে বিশাল আকারের টিউমার দেখতে পান চিকিৎসকেরা। ঝুঁকি থাকা সত্বেও জয়ন্তী দেবীকে বাঁচাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অভিনব চক্রবর্তী। সহকারী হিসেবে ছিলেন অ্যানাস্থেটিষ্ট স্বপন সোরেন সহ দক্ষ নার্সেরা। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় চিকিৎসকরা সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে জরায়ু থেকে ১৫x১৫ আকারের একটি টিউমার বের করেন।
টিউমারের ওজন দেখে চিকিৎসকরাও রীতিমত তাজ্জব হয়ে যান। টিউমারটির ওজন প্রায় ১০ কেজি। অস্ত্রোপচার করে সফল ভাবেই বের করা হয় ওই টিউমারটি।
চিকিৎসক অভিনব চক্রবর্তী জানান," এই অস্ত্রোপচার বেশ অনেকটাই জটিল ছিল। গর্ভবতী ওই মায়ের আল্টাস্নোগ্রাফি রিপোর্টে টিউমারের উল্লেখ না থাকায় প্রথমে বুঝতে পারা যায়নি। সিজার করতে গিয়ে দেখা যায় বিশাল আকারের ওই টিউমার। সফল অস্ত্রোপচারের পর মা মেয়ে এই মুহূর্তে দুজনেই ভাল আছেন।"
আরও পড়ুন, বাংলাতেও পোস্তর চাষ চান মমতা, অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন, রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক! প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা?
মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে সুপার ডক্টর মাসুদ হাসান জানান,"সাধারণ মানুষকে সরকারি হাসপাতালের উপর ভরসা রাখতে হবে। বর্তমানে হাসপাতালে পরিকাঠামো নার্সিংহোম এর চেয়ে কোন অংশে কম নেই।" এত বড় টিউমার অপারেশন হাসপাতালের ক্ষেত্রে বিরল বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা সকলে।
Sarthak Pandit