বাড়িতে ধান ঝাড়াইয়ের জন্য বাড়ির ভিতর টেবিল ফ্যান লাগানোর চেষ্টা করছিলেন শচীনবাবু। তখনই এই ভঙ্কর ঘটনা ঘটে যায়। তড়িঘড়ি এলাকার মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃতের পরিজনরা জানান, নিজের বাড়িতে ধান ঝাড়াই করার জন্য টেবিল ফ্যান সেটিং করতে গিয়েই ইলেকট্রিক শক লাগে শচীন বর্মণের। প্রতিবেশীরা জানান, নিজের ক্ষেতে এই বছর ধান চাষ করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই ধান পাকার পর কেটে নিয়ে এসে ঝাড়াই করার সময় এই বিপত্তি ঘটে। ধান ঝাড়াই করার সময় টেবিল ফ্যান লাগানোর চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'নবান্ন' উৎসব দিয়ে শীতের আনন্দে মাতবে শিলিগুড়ি
বর্তমানে ধান ঝাড়াই করা জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা তৈরি এসে গিয়েছে। তবুও গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ এখনও পুরনো পদ্ধতিতেই ধান ঝাড়াই করেন। আর তা করতে গিয়েই মাঝেমধ্যে এমন বিপদ ঘটে যায়। শীতলখুচির ওই ব্যবসায়ীর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে সেই সচেতনতার অভাবেরই ছোঁয়া দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এখন শীতকাল চলছে বলে এমনিতেই পাখা চালানো হয় না। ফলে ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ডে কোথাও কোনও গন্ডগোল থাকলেও তা মানুষজনের নজর এড়িয়ে যায়। সম্ভবত ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ডেও তেমন কোনও গন্ডগোল ছিল। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই একটা তরতাজা প্রাণ চলে গেল বলে ধারণা অনেকের।
সার্থক পণ্ডিত