কংক্রিটের তৈরি সুউচ্চ পাকা সেতু কোনও কাজেই লাগছে না গ্রামবাসীদের এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা মেলে না। তবে নিশিগঞ্জে এটাই বাস্তব। শালটিয়া নদীর দু'পাড়ের মানুষ আগে বাঁশের তৈরি চওড়া সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করতেন। ওই সাঁকো বা সেতু অস্থায়ী হলেও তা তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী ছিল। এদিকে কংক্রিটের সেতু তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় বাঁশের চওড়া সাঁকো আর রাখা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নদীর দু'পাড়ের মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে।
advertisement
বর্তমানে একটিমাত্র বাঁশের উপর দিয়ে কোনরকমে ব্যালেন্স করে নদী পার হতে হয় গ্রামবাসীদের। এই পাড়াপারে মারাত্মক ঝুঁকি আছে। এদিকে বেশিরভাগ গ্রামবাসী এইভাবে নদী পার হতে চায় না বলে তাদের ঘুরপথে নিশিগঞ্জ বাজার সহ অন্যত্র যেতে হচ্ছে। এতে অনেকটাই বেশি সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত শহর বনগাঁর বইমেলা কবে পর্যন্ত চলবে, কটা পর্যন্ত খোলা থাকছে জেনে নিন
বাঁশের সাঁকোর ঠিক পাশেই কংক্রিটের পাকা সেতু তৈরি হয়েছে। কিন্তু বছর আড়াই হয়ে গেল তার সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হয়নি। সূত্রের খবর, গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পাঁচ বছর আগে এই কংক্রিটের সেতুর কাজের সূচনা করেছিলেন তৎকালীন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শেষ পর্যন্ত লাভের বদলে অসুবিধাই বেশি হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়রা জানান, লকডাউনের সময় সেতুর কাজ বাকি রেখে চলে যান ঠিকেদার সংস্থার কর্মীরা। গ্রামবাসীদের ধারণা ছিল লকডাউন উঠে গেলে সেতুটির সংযোগকারী রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা আর হয়নি। ফলে কোনও কাজেই আসছে না নির্মিত পাকা সেতুটি। এদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত বর্ষাকালে এই সেতু বিভ্রাটের কারণেই জলে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। তবু হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, আসন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্যে যদি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরি না হয় তবে তাঁরা ভোট বয়কট করবেন। সেই সঙ্গে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এই বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
সার্থক পণ্ডিত