কোচবিহারের রাজার স্বপ্নাদেশে পাওয়া বড় দেবীর পুজো আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। তবে বড় দেবী প্রতিমা অন্যান্য দুর্গা প্রতিমার চাইতে বেশ অনেকটাই আলাদা। এখানে দেবীর বাহন বাঘ, আর দেবীর দুপাশে থাকেন জয়া ও বিজয়া।
আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, ঘুরে আসুন ‘পাখা গ্রাম’ থেকে! ছুঁয়ে দেখুন বাংলার ঐতিহ্যকে
advertisement
এই পুজোর বিষয়ে রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, “রাধা সপ্তমীর শেষ রাতে এই ময়না কাঠের শক্তি দণ্ডকে কোচবিহার মদনমোহন বাড়ি থেকে বড় দেবীর মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। তারপর আজ রাধা অষ্টমীর পূর্ণ তিথিতে এই ময়না কাঠের শক্তি দণ্ডকে বিশেষ ভাবে পুজো করা হয়। এরপর এই ময়না কাঠের শক্তি দণ্ডে তিন দিন পর মৃত্ শিল্পীরা দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করেন। বছরের পর বছর ধরে রাজ আমলের এই রীতি ও প্রথা মেনেই এভাবেই সমস্ত বিষয় হয়ে আসছে। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেবী বাড়ির বড় দেবীর মূল মন্দিরে।”
আরও পড়ুন: তারাপীঠের আদলে মায়ের মন্দির এবার হুগলিতে! সঙ্গে থাকবে নানা চমক
এদিনের এই বিশেষ পুজোয় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলা শাসক ও রাজ পরিবারের দুয়ার বক্সি। পুজো শেষে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, “আজও সম্পূর্ণ নিষ্ঠা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে রাজ আমলের সমস্ত রীতি ও প্রথা মানা হয়। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজোর সমস্ত পদ্ধতি রাজ আমল থেকেই এইভাবেই মানা হয়ে আসছে। বড় দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে কোচবিহারের বড় দেবী মূল মন্দিরে। এখানেই দেবীর মূর্তি তৈরি করা হয়।”
বড় দেবীর প্রতিমা তৈরির মূল কারিগর প্রভাত চিত্রকর জানান, “বড় দেবীর মূর্তি তৈরিতে চামটা এলাকার বিশেষ মাটি ব্যবহৃত হয়। রাধা অষ্টমীর তিন দিন পর থেকে এই মূর্তি তৈরি কাজ শুরু করা হয়।”
Sarthak Pandit