পরবর্তী সময়ে এই পুজো গুলি মদনমোহন মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হয়। ঠিক এমনই একটি পুজো হল কোচবিহারের রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী মহা সরস্বতী পুজো। এই পুজোর নিয়ম-নীতি সাধারণ সরস্বতী পুজো থেকে একেবারেই আলাদা। তবে এই পুজো বর্তমান সময়েও রাজ আমলের সমস্ত প্রাচীন রীতি নীতি মেনেই মদন মোহন বাড়িতে করা হয়।
আরও পড়ুন: থাকবেন মমতা, ডাক শুভেন্দুকেও! রাজভবনে আজ হাতেখড়ি, বাংলা শিখবেন রাজ্যপাল
advertisement
আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনা হবে না স্কুলে! কারণ, এই একমাত্র পড়ুয়া
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের রাজ পুরোহিত জানাচ্ছেন, "শ্রী পঞ্চমীর শুভ তিথিতে সরস্বতী পুজো আয়োজন করা হয়। তবে কোচবিহারের রাজ আমলের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দির মদনমোহন বাড়ি। এখানে এই বিশেষ দিনে মহা সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই দেবীর মুর্তি সাধারণ সরস্বতী দেবীর মুর্তিথেকে একেবারেই আলাদা।
এছাড়াও এই দিনে মহা সরস্বতী দেবীর আরাধনার পাশাপাশি একটি বিশেষ পুজোও করা হয়ে থাকে। এই পুজোতে সমস্ত ঋতুদের পুজো করা হয়। রাজ আমলের জমিদার এবং রাজাদের বাড়িতে এই মহা সরস্বতীর পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকত। তবে বর্তমান সময়ে রাজ আমল অতীত। তাই এই পুজোর সমস্ত দায়িত্বভার পালন করে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। তবে রাজ আমলের কোন রীতি অক্ষুন্ন হতে দেয়নি দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।"
রাজ আমলে সম্পূর্ণ প্রাচীন রীতি প্রথা মেনেই এই পুজোর আয়োজন করা হয় কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে। কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য এই পুজোর করে থাকেন। মদনমোহন বাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে এই পুজো করা হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ মদনমোহন মন্দিরে ভিড় জমান সরস্বতী পুজোর দিনে। রাজ আমলের প্রাচীন সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে কোচবিহারবাসীর মধ্যে এক আলাদা উৎসাহ লক্ষ্য করতে পারা যায়। এই পুজোর শুরু হওয়ার সময় থেকেই প্রচুর ভক্তবৃন্দ মন্দির চত্বরে উপস্থিত থাকেন। অনেকেই তো আবার এই পুজোয় দেবীর জন্য অঞ্জলিও দিয়ে থাকেন।
Sarthak Pandit