বিনিয়োগ উপদেষ্টারা বলছেন, এসআইপি হল বিনিয়োগের এমন মাধ্যম যার মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে একজন বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগের সুবিধা পাওয়া যায়। এতে নিয়মিত অথচ অল্প বিনিয়োগ করে মেয়াদ শেষে মোটা অঙ্কের টাকা জমাতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে সন্তানের উচ্চশিক্ষা, বিবাহ তো বটেই অবসর তহবিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ লক্ষ্য পূরণ করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচবেন কীভাবে, এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন!
এখানে নামমাত্র বিনিয়োগের মাধ্যমে ১০ বছরে ৫০ লক্ষ টাকা জমিয়ে ফেলা যায়। ধরা যাক, বিনিয়োগকারীর ৬ বছরের একটি ছেলে আছে। এখন তিনি সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য আগামী ১০ বছরে ৫০ লক্ষ টাকা জমা করতে চান। কিন্তু ঝুঁকির কারণে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে এসআইপি হল এমন একটা বিকল্প যেখানে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে এই লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: বাড়ছে গরম, তার মধ্যে কয়লা সঙ্কটের জেরে হতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবায় সমস্যা!
তবে হ্যাঁ, বিনিয়োগে শৃঙ্খলা থাকতে হবে। এই প্রসঙ্গে অপটিমা মানি ম্যানেজারস-এর এমডি এবং সিইও পঙ্কজ মথপাল বলছেন, ‘এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে কী লক্ষ্যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সেটা বড় ব্যাপার নয়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ছ্য় মাসে একবার, যে ভাবেই টাকা বিনিয়োগ করুন না কেন, মাসিক কিস্তি বাদ দিলে চলবে না। এতে শেয়ার বাজারের মতো ঝুঁকি নেই, কিন্তু ভালো রিটার্ন দেয়। তাই বিনিয়োগকারী যে কোনও সময়ে ১০ বছরের জন্য এসআইপি-তে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন’।
আরও পড়ুন: সোনা-রুপোর দামে আজ বিপুল পতন, কেনার আগে দেখে নিন আজকের লেটেস্ট রেট....
এক্ষেত্রে সাধারণত ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন মেলে। ট্রানসেন্ড ক্যাপিটালের ডিরেক্টর কার্তিক জাভেরি বলছেন, ‘এসআইপি-তে দীর্ঘমেয়াদে বেতনের ১০ শতাংশ বিনিয়োগকে আদর্শ ধরা হয়। তবে কম মাসিক এসআইপি-তে বড় লক্ষ্য পূরণের জন্য বিনিয়োগকারী বার্ষিক ১৫ শতাংশ বা তার বেশি বিনিয়োগ করতে পারেন’। সঙ্গে কার্তিক যোগ করেন, ‘১০ বছরের জন্য মাসিক এসআইপি-তে ১২ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন আশা করা যেতে পারে’।