TRENDING:

Encumbrance Certificate: সম্পত্তি কেনার আগে যে কাজটা অবশ্যই করতে হবে.....

Last Updated:

Encumbrance Certificate: একটি দায়বদ্ধতা শংসাপত্র পেতে কত টাকা ফি দিতে হয়?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: যখন নতুন সম্পত্তি কেনা হয়, সে ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেটা করতে হয়, সেটা হল-- ভালো ভাবে যাচাই করে নেওয়া। অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট সম্পত্তি কোনও আইনি জটিলতায় ফেঁসে রয়েছে কি না, সেটা সম্পত্তি কেনার আগে ভালো ভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত ক্রেতার। অনেক সময় দেখা যায় যে, প্রোমোটার এবং বিক্রেতারা দায় এড়াতে বেআইনি সম্পত্তি ভুয়ো নথির সাহায্য নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এই কারণে সম্পত্তি কেনার আগে আইনি দিক সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কেনা উচিত। কিন্তু কেউ কী ভাবে বুঝবেন, নির্দিষ্ট কোনও সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনি জটিলটা রয়েছে কি না? আসলে দায়বদ্ধতা শংসাপত্র বা এনকামব্র্যান্স সার্টিফিকেট (ইসি)-এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
advertisement

আরও পড়ুন: আবাসন প্রকল্প রেরা তালিকাভুক্ত কি না, সেটা কী ভাবে বোঝা যাবে?

দায়বদ্ধতা শংসাপত্র:

যদি কোনও কিছু বন্ধক দিয়ে একটি সম্পত্তি কেনা বা ওই সম্পত্তি কোথাও বন্ধক রাখা হয়, তবে ঋণদাতা সম্পত্তিতে ‘লিয়েন’ বা এক ধরনের চার্জ ধার্য করে। এই চার্জ লাগিয়ে ঋণদাতা নিশ্চিত করে যে, ঋণগ্রহীতা/সম্পত্তির মালিক বন্ধকী সম্পূর্ণ পরিশোধ না-করা পর্যন্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন না। 

advertisement

দায়বদ্ধতা শংসাপত্র বা ইসি হল একটি আইনি নথি। কোনও সম্পত্তির উপর কোনও রকম আর্থিক বা আইনি দায় রয়েছে কি না, সেটা এই শংসাপত্রের মাধ্যমে যাচাই করা হয়ে থাকে। এক জন গ্রাহক সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে যে কোনও সম্পত্তির দায়বদ্ধতা শংসাপত্র পেতে পারেন। 

আরও পড়ুন: গত ৩০ বছরে এই গ্রামে প্রবেশ করেনি কোনও পুরুষ, তা সত্ত্বেও গর্ভবতী হয়ে যান মহিলারা .....

advertisement

দায়বদ্ধতা শংসাপত্র কেন প্রয়োজনীয়?

একটি সম্পত্তি কেনার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে, ওই নির্দিষ্ট সম্পত্তিটি দায়মুক্ত কি না। গ্রাহক যে সম্পত্তিটি কিনতে ইচ্ছুক, তার দায়বদ্ধতা শংসাপত্র পেলে খুব সহজেই নিশ্চিত হতে পারবেন যে, সেটি কোনও আর্থিক এবং আইনি জটিলতায় জড়িয়ে রয়েছে কি না। যদি শংসাপত্রে কোনও চার্জ দেখতে পাওয়া যায়, তবে সেই বিষয়ে বিশদে জানা জরুরি। কোনও সম্পত্তির একাধিক মালিক বা মালিকানার অংশীদার রয়েছে কি না, ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সেই তথ্যও জানা যায়। 

advertisement

এ ছাড়া, কোনও গ্রাহক যদি লোন নিয়ে কোনও সম্পত্তি কিনতে চান, তবে ঋণদাতার কাছে সম্পত্তির দায়বদ্ধতা শংসাপত্র জমা দিতে হবে। 

আরও পড়ুন: গত ১ বছরে কিস্তির টাকা না পেলেও যোজনার সুবিধা নিতে পারবেন...

দায়বদ্ধতা শংসাপত্রের প্রকার:

সাধারণত দায়বদ্ধতা শংসাপত্র দুই ধরনের হয়। 

advertisement

  • ফর্ম ১৫
  • ফর্ম ১৬

যদি আবেদনকারী চাওয়া সম্পত্তির দায়বদ্ধতা শংসাপত্রে কোনও আইনি বা অর্থনৈতিক জটিলতা থাকে, তবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের তরফে ফর্ম ১৫ প্রদান করা হয়। 

যদি আবেদনকারী চাওয়া শংসাপত্রে কোনও আইনি বা অর্থনৈতিক জটিলতা না-থাকে, তবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস শুন্য দায়বদ্ধতা শংসাপত্র দিতে ফর্ম ১৬ প্রদান করে।  

শুন্য দায়বদ্ধতা শংসাপত্র:

যখন কোনও উপভোক্তা দায়বদ্ধতা শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেন, তখন তাঁকে একটি সময়সীমা নির্ধারিত করতে বলা হয়। অর্থাৎ, কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত সময়ের তথ্য জানতে চান, সেটা নির্ধারণ করতে হয়। তাঁকে শুধুমাত্র ওই সময় কালের জন্যই একটি সম্পত্তির শংসাপত্র দেওয়া হবে। যদি উল্লিখিত সময় কালের মধ্যে একটি সম্পত্তির কোনও আইনি বা অর্থনৈতিক জটিলতা না-থাকে এবং সমস্ত দিক থেকে তা দায়মুক্ত হয়, তবে ওই সম্পত্তির জন্য শুন্য দায়বদ্ধতা শংসাপত্র প্রদান করা হয়। 

একটি দায়বদ্ধতা শংসাপত্র পেতে কত টাকা ফি দিতে হয়?

দায়বদ্ধতা শংসাপত্রের আবেদন ফি বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়। রাজ্য সরকারগুলি সম্পত্তির অবস্থান ও অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই চার্জ নির্ধারণ করে। নীচে কয়েকটি রাজ্যের আবেদন ফি দেওয়া হল। 

রাজ্য আবেদন ফি
অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা (২০১৩ সালের ১৭ অগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী)
  • দায়বদ্ধতা শংসাপত্র খোঁজা এবং কপি সংগ্রহ: ২০০ টাকা/ শংসাপত্র
  • ৩০ বছর পর্যন্ত সময়সীমার জন্য দায়বদ্ধতা শংসাপত্র খোঁজা এবং কপি সংগ্রহ: ২০০ টাকা/ শংসাপত্র
  • ৩০ বছরের বেশি সময়সীমার জন্য দায়বদ্ধতা শংসাপত্র খোঁজা এবং কপি সংগ্রহ: ৫০০ টাকা/ শংসাপত্র
কেরল (২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী) 
  • দায়বদ্ধতা শংসাপত্র খোঁজা এবং একটি কপি সংগ্রহ: ১০ টাকা
দিল্লি 
  • সম্পত্তির শংসাপত্রের আবেদন ফি শুরু হয় ২০০ টাকা থেকে। এর পর সম্পত্তির অবস্থান এবং কত বছর সময় কালের জন্য আবেদন করা হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে চার্জ বাড়তে থাকে।  
তামিলনাড়ু
  • শংসাপত্রের আবেদন ফি ১ টাকা
  • প্রথম এক বছরের তথ্যের জন্য ১৫ টাকা
  • এর পর প্রতি এক বছরের জন্য ৫ টাকা
  • ১৯৮৭ সালের পরের সময়ে কম্পিউটারে সংগ্রহ করা রাখা তথ্যের জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

অনলাইন এবং অফলাইন দু’রকম প্রক্রিয়ায় দায়বদ্ধতা শংসাপত্র সংগ্রহ করা যায়। যদিও বেশির ভাগ রাজ্যেই এই শংসাপত্রের জন্য অফলাইন প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে হাতে লিখে আবেদন করতে হয়। শুধু কয়েকটি রাজ্যে অনলাইনে আবেদনের সুবিধা রয়েছে।  অন্যান্য রাজ্যগুলিও ধীরে ধীরে অনলাইন প্রক্রিয়ার প্রস্তাবনা করার পরিকল্পনা করছে। অফলাইনে শংসাপত্রের জন্য আবেদন করলে তথ্য হাতে পেতে ১৫-৩০ দিন সময় লাগে। কোনও রাজ্যে বেশি লাগে আবার কোথাও কম লাগে। অন্য দিকে, অনলাইনে আবেদনের ২-৩ দিনের মধ্যে দায়বদ্ধতা শংসাপত্র হাতে চলে আসে। 

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Encumbrance Certificate: সম্পত্তি কেনার আগে যে কাজটা অবশ্যই করতে হবে.....
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল