বাজারে এর চাহিদাও ভালই। যা ধান চাষের থেকে বেশ কয়েক গুণ বেশি লাভজনক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা এলাকায় ধান চাষের প্রাধান্য বেশি। কিন্তু বর্তমানে ধান চাষের তুলনায় বিকল্প আয়ের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। ধান চাষের জমিতেই স্ট্রবেরি চাষ করেছেন পিংলার এক যুবক সুব্রত মাহেশ। আর ধান চাষের থেকেই তিনি বার্ষিক বেশি রোজগার করছেন এই স্ট্রবেরি চাষ করে।
advertisement
জানা গিয়েছে, মূলত শীতকালীন ফসল এই স্ট্রবেরি। যা মূলত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের দিকে চারা গাছ রোপন করা হয়। এবং সেই চারা গাছ থেকে ফল পাওয়া যায় জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। এক একর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করতে খরচ হয় আনুমানিক চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। উৎপাদিত স্ট্রবেরি বাজারে বিক্রি হয় আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকায়।
অর্থাৎ খরচের থেকে দ্বিগুণ লাভ হয় স্ট্রবেরি চাষ করে।
আরও পড়ুন, 'ছবির নীচে সততার প্রতীক লিখতে পারছেন না মমতা!' প্রকাশ্যেই আক্ষেপ মন্ত্রীর
আরও পড়ুন, ভাঙড় নিয়ে আরাবুলের সঙ্গে বৈঠকে শওকত! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কাইজারের
সেক্ষেত্রে ধান চাষ করলে সেই লাভ মেলে না চাষীদের। তাই এই চাষে বেশি আগ্রহ। সুব্রত বলেন, যে কোন মাটিতেই এই চাষ করা যাবে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে স্ট্রবেরি চাষ করলে লাভও দ্বিগুণ হবে। বার্ষিক আয়ের পরিমাণও বাড়বে। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর কলকাতা-সহ জেলাতে স্ট্রবেরির চাহিদা বেশি। পাশাপাশি উৎপাদিত স্ট্রবেরি বিদেশেও রফতানি হয়। যার ফলে বাড়তি আয়ের মুখ দেখেন চাষিরা।
Ranjan Chanda