করদাতাদের বড় অংশের আশা, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বাড়ানো হবে। বর্তমানে পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকা এবং নতুন কর ব্যবস্থায় ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। এটা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৭৫ হাজার এবং ১ লাখ টাকা করার দাবি করছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ এবং স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভে করের নিয়ম আরও সহজ করা হতে পারে। ডেট মিউচুয়াল ফান্ড এবং রিয়েল এস্টেটে এলটিসিজি-তে ইনডেক্সেশনের সুবিধা পুনরায় চালু করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ি কিনতে চাইলে এই বছরই সেরা, বিশেষজ্ঞরা কেন এমন দাবি করছেন ? আগামী বছর থেকে কী সমস্যা আসতে চলেছে?
তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, বাজেটে এই ক্ষেত্রগুলিতে বড়সড় কোনও পরিবর্তন হবে না। কারণ ২০২৪ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে এই সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়,৬৩ বছরের পুরনো আয়কর আইনের (I-T Act) সংস্কার ও সরলীকরণের ঘোষণাও করেছিল কেন্দ্র। এর উদ্দেশ্য ছিল, করদাতাদের জন্য আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা এবং আয়কর সংক্রান্ত মামলার জট কমানো। আশা করা হচ্ছে যে এবারের বাজেটে ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড (DTC) পেশ করা হতে পারে। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনাকল্পনা চলছে।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ | Union Budget 2025 Live Updates
অ্যাক্যুইটে রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ লিমিটেডের এক জিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ সুমন চৌধুরী বলছেন, “বাজেটে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত কর ছাড় পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে মানুষের হাতে টাকা থাকবে। অর্থনীতি গতি পাবে। চাকরিজীবীদের জন্য ট্যাক্স স্ল্যাবে বদল আনা প্রয়োজন। বার্ষিক ৭ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের করদাতাদের ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করতে পারে। নতুন কর ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।“
আরও পড়ুন: দুটি পর্যায়ে চলবে বাজেট অধিবেশন, কোন পর্যায়ে কী হবে? দেখে নিন বিস্তারিত
হোম লোন এবং সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্পেও ছাড়ের আশা করছে মধ্যবিত্ত সমাজ। ব্রিক অ্যান্ড বোল্ট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জয়েশ রাজপুরোহিত বলেন, “আবাসন খাতে হোম লোনের সুদে ট্যাক্স ছাড়ের সীমা ২ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা করা হলে এবং ধারা ৮০(সি)-এর আওতায় ১.৫ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা করা হলে, সাশ্রয়ী আবাসন খাতে বড়সড় সুবিধা হবে।“