তারপর শুকিয়ে গেলেই যথার্থ মূল্য রেখে বিক্রি করে বিশ্বজিৎ দে মোদক। পুরো সেটের দাম ৩০০ আর থালার দাম ৮০ টাকা। বাঁকুড়া শহরের সারদামনি কলেজের ঠিক পাশেই মা প্রতিমা দে মোদক এবং ছেলে বিশ্বজিৎ দে মোদক করছেন ব্যবসা।
advertisement
পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরের কাজে এবং ব্যবসার কাজে হাত লাগালে ছেলের সার্বিক উন্নতি হবে বলে মনে করেন বিশ্বজিতের মা। তিনি জানান, আমার ছেলে পড়াশোনা করে তার সঙ্গে ঘরের সব কাজ করে। দোকানে খদ্দের দেখে এবং রংও করে। আমি মনে করি এভাবে কাজ করলে মানুষ হিসেবেও এগিয়ে যাবে, কাজের গুরুত্ব শিখবে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর একটা ইচ্ছে হবে। দায়িত্ব বাড়বে। দায়িত্ববান হবে।
দোকানে রয়েছে বিভিন্ন জিনিস, বাঁকুড়ার পরিচিতি টেরাকোটার ঘোড়া থেকে শুরু করে কার্তিক ঠাকুর। এছাড়াও রয়েছে মাটির বিভিন্ন জিনিস। তবে বিশেষ করে এই শীতে বিক্রি হচ্ছে থালা বাটির কম্বো। বাঙালিয়ানা যাদের একটু পছন্দ তারা অনায়েসেই এই থালা বাটি কিনতে পারেন। এছাড়াও বিশ্বজিৎ জানায়, বাঙালি রেস্টুরেন্ট গুলি এই থালা বাটি নিয়ে যাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে একটু বিক্রি বেড়েছে বলে বিশ্বজিৎ দোকানে থাকছে বেশিরভাগ সময়।
বিশ্বজিৎ প্রমাণ করেছে যে শুধুমাত্র পড়াশোনা করাটাই জীবনের লক্ষ্য নয়। কাজ শেখা, বাবা-মার ভরসা হয়ে দাঁড়ানো একটা লক্ষ্য। সে কারণেই পড়াশোনার পাশাপাশি বঙ্গ বিদ্যালয়ের এই ছাত্র মায়ের দোকানে কাজ করে সাহায্য করার পাশাপাশি করছে পড়াশোনা।





