এই ব্যবসার জন্য মাত্র ১০০ গজের জমি এবং কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে ৷ এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন ৷ পরবর্তীকালে ব্যবসায় লাভের মুখ দেখলে বছরে কোটি টাকা আয় করারও সুযোগ রয়েছে ৷ যে ভাবে শহরের আধুনিকীকরণ (Urbanization) চলছে সর্বত্র তাতে বিল্ডার্সরা ফ্ল্যাই অ্যাশ (Fly Ash Business) থেকে তৈরি ইটেরই ব্যবহার বেশি করছেন ৷
advertisement
অটোমেটিক মেশিনের ব্যবহার করা প্রয়োজন
এই ব্যবসায় প্রয়োজন অটোমেটিক মেশিনের ৷ যা আপনার জন্য লাভজনক হবে ৷ এই মেশিনের দাম ১০-১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৷ কাঁচামালের মিশ্রণ থেকে শুরু করে ইট বানানো পর্যন্ত সব কাজ মেশিনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে ৷ এই অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমে এক ঘণ্টায় এক হাজার ইট তৈরি করা সম্ভব ৷ অর্থাৎ এই মেশিনের মাধ্যমে মাসে ৩-৪ লাখ ইট বানাতে পারবেন আপনি ৷
ব্যবসার জন্য লোন নিতে পারেন
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিতে পারেন শুরুতে ৷ প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনার মাধ্যমে এই ব্যবসার জন্য লোন পেতে পারেন আপনি ৷ এর পাশাপাশি মুদ্রা লোনেরও সুবিধা রয়েছে ৷ উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে মাটির অভাবের কারণে ইটের উৎপাদন সেভাবে করা সম্ভব হয় না ৷
আরও পড়ুন- চাকরি ছেড়ে শুরু করুন এই দুর্দান্ত ব্যবসা, প্রতি মাসে হবে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় !
পাহাড়ি এলাকায় এই ব্যবসার বেশি সুযোগ
পাহাড়ি এলাকায় ইট উৎপাদণ কম হয় বলে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি থেকে সেখানে ইট আনানো হয়ে থাকে ৷ যার ফলে পরিবহণ খরচ অনেক বেড়ে যায় ৷ এর ফলে এই জায়গাগুলিতে সিমেন্ট এবং স্টোনডাস্ট দিয়ে তৈরি ইটের ব্যবসা অনেক বেশ লাভজনক ৷ পাহাড়ি এলাকায় স্টোনডাস্ট খুব সহজেই পাওয়া যায়, তাই কাঁচামাল জোগাড়ে অসুবিধা হয় না ৷