কৃষক মহম্মদ আলি মিঞা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তিনি চাষ করেন। এটাই তাঁর পেশা। তবে গতানুগতিক চাষ আবাদে বর্তমান সময়ে খুব একটা লাভ হয় না। তাই নিত্যনতুন পদ্ধতি তিনি ব্যবহার করে থাকেন চাষের ক্ষেত্রে। চলতি মরসুমে তিনি চাষ করেছেন লঙ্কা ও আদা। তবে তিনি এই দুই চাষ করেছেন বস্তার মধ্যে। এতে তাঁর চাষের ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে অনেকটাই। কম সার ও কম আগাছা নাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে তাঁকে। গাছের গোড়ায় আগাছা কম হচ্ছে, কিন্তু গাছের গুণগত মান হচ্ছে ভাল বেশ অনেকটা।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ টাকা হোম লোন নেওয়ার জন্য মাসে কত টাকা আয় হওয়া প্রয়োজন? হিসেব বুঝে নিন
তিনি আরও জানান, “প্রথমে সার ও মাটি মিশিয়ে নিয়ে বস্তায় ভরা হয়েছে। তারপর লঙ্কার বীজ থেকে তৈরি চারা সাবধানে বস্তায় লাগানো হয়েছে। এভাবেই আদাও লাগানো হয়েছে বিস্তার মধ্যে। এতে জমির পরিচর্যা করতে বাড়তি সময় দিতে হচ্ছে না। গাছের পরিচর্যা করতে হচ্ছে কম। তবে গাছের মান হচ্ছে ভাল এবং ফলনও হচ্ছে অনেকটাই ভাল পরিমাণ। গতবছর এই ভাবেই চাষ করে বেশ ভাল টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। এভাবে তিনি চাষ করেছেন ৯০০ বস্তা। এতে খরচ হবে ১০০০০ টাকা। তবে লাভ আসবে দ্বিগুণের বেশি।”
আরও পড়ুন: এই ৫ নগদ লেনদেনের জন্য আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পেতে পারেন, সতর্ক থাকুন, বিশদে জানুন ভুল হওয়ার আগেই
এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করলে চাষের জমিতে জল আটকে গাছের ক্ষতি হওয়ার বিষয় থাকে না। এছাড়াও জমিতে আগাছা বেশি হয় না। প্রয়োগ করতে হয় না, খুব একটা বেশি পরিমাণে সার। তাই এই পদ্ধতিতে চাষ করা অনেকটাই লাভজনক মনে করেন বহু কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি। জেলার আরোও কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করে লাভ পাবেন নিশ্চিত।
Sarthak Pandit