জসপাল ভাট্টির আইকনিক ব্যঙ্গাত্মক সিরিজ ‘ফুল টেনশন’-এর একটি পুরনো দৃশ্য ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স-এ ভাইরাল হওয়ার পর অনলাইনে এই প্রশ্নটি ছড়িয়ে পড়ে। মূলত ৯০-এর দশকে তৈরি এই ধারাবাহিকের দৃশ্যটি এখন ভারতের বিমান চলাচল মন্দার পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
advertisement
ক্লিপটিতে ভাট্টিকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একজন হাস্যকর এবং অজ্ঞ বিমান সংস্থার কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করছেন যিনি যাত্রীদের আশ্বস্ত করছেন যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গল্পে কিন্তু ফ্লাইট বুকিং ওভারফ্লো, চেক-ইন কাউন্টারগুলিতে বিশৃঙ্খলা, কাজে বিশৃঙ্খল এবং পাইলটরাও নিখোঁজ আর প্রতিটি উড়ানে বিলম্বকে কারিগরি সমস্যার (Shortage Of Employee) জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ছুটে বেড়াচ্ছেন, বিশৃঙ্খলা এবং ফ্লাইট বাতিলের জন্য তর্ক-বিতর্ক করছেন এবং জবাব দাবি করছেন। একসময় যা হাস্যরসাত্মক অতিরঞ্জন ছিল, তা আজ বিমানবন্দরগুলির বাস্তব দৃশ্য।
ক্লিপটি শেয়ার করা ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ক্যাপশন ছিল, ‘‘যখন আপনি বুঝতে পারলেন যে জসপাল ভাট্টি ৮৯ সালে ইন্ডিগো ২০২৫ বিশৃঙ্খলার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।’’
ইউজাররা দ্রুত মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দেন, জসপালকে একজন দূরদর্শী বলে অভিহিত করেন এবং স্বীকার করেন যে ব্যঙ্গাত্মক অনুষ্ঠানটি সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। এদিকে, একজন ইউজার এমনকি কৌতুকাভিনেতাকে ভারতের সিম্পসন বলে অভিহিত করেন। অন্য একজন যোগ করেন, ‘‘ইন্ডিগোর উচিত তাঁকে নিয়োগ করা, গুগল ম্যাপ আসার আগেই তিনি ভবিষ্যত দেখতে পেতেন।’’
Today’s Indigo Situation visualised long ago by Jaspal Bhatti
বাস্তব জগতের ইন্ডিগো বিশৃঙ্খলা
গত সপ্তাহে ভারতে একদিনে ৪০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে দিল্লি, হায়দরাবাদ এবং কলকাতা বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা, টিকিটের দাম বৃদ্ধি এবং পুনঃনির্ধারিত ফ্লাইটের বিষয়ে কোনও স্পষ্টতা না থাকার অভিযোগ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার পাইলটদের ডিউটি টাইম নিয়ম শিথিল করার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাইলটদের দীর্ঘ বিশ্রামের সময় নির্ধারণের জন্য নতুন ক্রু রোস্টারিং নিয়ম বাস্তবায়নে ইন্ডিগোর লড়াইয়ের পর এই সঙ্কট শুরু হয়। যদিও নিয়মগুলি আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে বিমান সংস্থাটি সময়মতো কর্মী নিয়োগ এবং শিডিউলে সামঞ্জস্য করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যার ফলে পাইলটের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখের মধ্যে উড়ান বাতিলের সংখ্যা ১,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং সপ্তাহান্তেও ব্যাঘাত অব্যাহত ছিল।
ইন্ডিগো জানিয়েছে যে তারা ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখের মধ্যে ফ্লাইট অপারেশন স্থিতিশীল করার জন্য কাজ করছে, রিফান্ড প্রসেস করা হচ্ছে এবং ফ্লাইট সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
