আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের টাকা জমা থাকলে জেনে রাখুন এই নয়া নিয়ম, হতে পারে সমস্যা
বছর সাতেক আগে, অর্থাৎ ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসের প্রথম ইপিএফ-এর পুঁজি শেয়ারবাজারে খাটানো শুরু হয়। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের মাধ্যমে তখন টাকা খাটানো শুরু হয়েছিল। তখন স্থির হয়েছিল সর্বোচ্চ ৫% টাকা শেয়ার বাজারে ঘোরানো হবে। ঋণপত্রে রিটার্নের সম্ভাবনা কম, এই যুক্তিতেই ধাপে ধাপে সেই লগ্নির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ক্রমে তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়। এই কারণেই সরকার চাইছে, পুরনো পদ্ধতিতে রিটার্নের আশা ছেড়ে সংস্কারের পথে হাঁটতে, এমনটাই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
advertisement
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে যে ৫টি প্রশ্ন অবশ্যই করা উচিত, আপনিও জেনে নিন!
ইপিএফ-এর টাকা শেয়ারে লগ্নির পক্ষে পরিসংখ্যানও দিচ্ছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দেখাচ্ছেন ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে শেয়ারে রাখার এপিএফ-এর টাকা অনেকটাই বেড়েছে। রিটার্ন এসছে ১৪.৭৩ শতাংশ এবং ১৬.২৭ শতাংশ। তাঁদের বক্তব্য এই রিটার্ন ঋণপত্র থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই সামান্য ঝুঁকি নেওয়া। ট্রেড ইউনিয়নগুলি অবশ্য আশঙ্কা করছে, এ ভাবে আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ চাকুরিজীবীকে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে দাম বাড়তে চলেছে দুধ, দই, লস্যির, লাগু হচ্ছে ৫% জিএসটি
প্রসঙ্গত এ ব্যাপারে ইপিএফও অ্যাডভাইসারি বডি ফিনান্স অডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিটি সমর্থন জানিয়েছে। তাদের মতামত রাখা হবে ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির সামনে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানাচ্ছেন অছি পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হলেই কুড়ি শতাংশ অর্থ শেয়ার বিনিয়োগ করা যাবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এর বিরুদ্ধে পথে নামতে পারে কিছু বাম ট্রেড ইউনিয়ন।