ডাক জীবন বিমা হল ভারত সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি জনকল্যাণমূলক বিমা প্রকল্প। এটি অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ডাক বিভাগের একটি এজেন্সি সার্ভিস। ডাক বিভাগ সেবাটির নিয়ন্ত্রণ, পরিচালন এবং মার্কেটিংয়ের কাজ করে।
প্রধান আকর্ষন: ডাক জীবন বিমার(পি.এল.আই) প্রধান আকর্ষণ হল নিম্ন হার প্রিমিয়াম ও উচ্চ হার বোনাস।
আরও পড়ুন: অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে SBI, HDFC! ফিক্সড ডিপোজিটে ‘রেকর্ড সুদ’ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক
advertisement
কারণ: মুনাফা অর্জন করা এ বিমার উদ্দেশ্য নয়। ফলে এর প্রিমিয়ামের পরিমাণ খুব কম। প্রিমিয়ামের পরিমাণ সাধারণত বিমাকারীর বয়স ও পলিসির মেয়াদের উপর নির্ভর করে। সব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য থাকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করতে হবে, কিন্তু সরকার এই খাত থেকে কোনও লাভ করে না। বরং এটি পরিচালিত হয় না লাভ, না লোকসান ভিত্তিতে। ফলে উদ্বৃত্ত অর্থের সবটুকু বোনাস হিসেবে পলিসি হোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এখানে গ্রাহকরা সর্বনিম্ন প্রিমিয়ামে সর্বোচ্চ মুনাফা পাবে।
জমা করার পদ্ধতি :-
এ বিমার প্রিমিয়াম নগদে নেওয়া হয়। বিমাকারীর কাছে একটা পাশ বই দেওয়া হয়। যে কোনও ডাকঘরে জমা নেওয়া হয়। অনলাইন এ জমা করার সুবিধাও আছে।
কারা এই সুবিধা নিতে পারবে:-
যে কোনো সরকারী কর্মচারী ১৯ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে হলেই এই বিমা পলিসি গ্রহণ করতে পারবে। আর বিমার পূর্ণতা পাবে বিমাকারীর ৩৫,৪০,৪৫,৫০, ৫৫,৫৮ ও ৬০ বছর বয়সে।।
নমিনির সুবিধা:
বিমাকারীর মৃত্যুর পর শুধু নমিনি টাকা পাবেন।সেক্ষেত্রে যে কয় বছর পর বিমাকারীর মৃত্যু হবে, নমিনি সেই কয় বছরের বোনাস এবং পুরো সাম ইন্সুরেন্স মুল্য পাবেন।
লভ্যাংশ:
যেহেতু ডাকজীবন বিমা, “লাভ নয়, লোকসান নয়”এই ভিত্তিতে চালু, ফলে লভ্যাংশ পলিসি গ্রহণকারীদের মধ্যে বোনাস হিসেবে বণ্টন করা হয়। বর্তমান বোনাসের হার মেয়াদী পলিসিতে ৫৮ টাকা প্রতি হাজার সাম অ্যান্সুরেন্স ।
আরও পড়ুন: এই ব্যবসাগুলোর কথা কখনও ভেবে দেখেছেন? যেমন অভিনব, টাকা আসবে মুঠো মুঠো
ঋণ সুবিধা:
এ বিমায় রয়েছে ঋণ নেওয়ার সুবিধাও। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকের পলিসির মেয়াদ ৩ বছর পূর্ণ হতে হবে। যা সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।সুদের হার বার্ষিক শতকরা ১০ শতাংশ।।
ডাক জীবন বিমার বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
প্রিমিয়ামের হার অন্য যেকোনো বিমা কোম্পানি থেকে কম।
বোনাসের হার বেশি।
পলিসির কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। অর্থাৎ যে কোনও অঙ্কের পলিসি গ্রহণ করা যায়।
বাতিল বিমা
পুনরুজ্জীবনের সুবিধা আছে।
পলিসি থেকে ঋণ নেওয়া যায়।
যে কোনও ডাক ঘরে প্রিমিয়াম জমা ও টাকা উত্তোলন করা যায়।
পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স (PLI) নতুন করতে গেলে নিয়ম কিছুটা বদলেছে৷ এখন নতুন পি এল আই খাতা খুলতে গেলে ফর্ম এ আর ইমিডিয়েট সুপেরিওর এর সই লাগবে না।
ফর্ম এর সঙ্গে দিতে হবে
(১)এক কপি পাশপোর্ট সাইজের কালার ছবি।
(২) নিজের সই করা আধার কার্ড,প্যান কার্ডের জেরক্স কপি ১ টা।
(৩) সরকারি কর্মচারী দের সালারি স্লিপ জেরক্স ১ কপি নিজের সই করা।
সরকারি কর্মচারী না হলে গ্রাজুয়েশন / ডিপ্লোমা পাশ সার্টিফিকেট অথবা রেজাল্ট জেরক্স ১ কপি নিজের সই করা।
উল্লেখ্য, ভারতবর্ষে এটাই একমাত্র সরকারি প্রোডাক্ট। আপনার বিমার চুক্তি হবে মহামান্য ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র সংগে। বীমা এবং ভালো সেভিংস একসঙ্গে। এর মতো রিটার্ন এখনও কোনও বিমা কোম্পানি দিতে পারছে না। মনে রাখবেন এই বিমা করানোর জন্য আমাদের এজেন্টরা কমিশন পায়না, সামান্য ইনসেন্টিভ পেয়ে থাকে। কোনও বিজ্ঞাপনের খরচ নেই। তাই পুরো সুবিধা বিমাপত্র গ্রহণকারী পেয়ে থাকেন।