আরও পড়ুন: জুড়ে যাচ্ছে HDFC ব্যাঙ্ক ও HDFC Ltd! কী প্রভাব পড়বে শেয়ারহোল্ডারদের উপর?
ভারতীয় টাকা বা রুপির দরপতনের কিছু কারণ রয়েছে। আসলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে তড়িঘড়ি টাকা তুলে নিচ্ছেন, এটাকেই মূলত ভারতীয় টাকার দর পতনের কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তো রয়েছেই! বিদেশি সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা গত জুন মাসে ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি পি-নোটের মাধ্যমে বিনিয়োগও কমিয়ে দিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আবার মার্কিন ফেড রিজার্ভের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্ব বাজারে ডলারের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। আবার এ-দিকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য ভূ-রাজনৈতিক কারণে বিশ্বব্যাপী বাজারে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রায় সব বিনিয়োগকারী ডলারের দিকেই ঝুঁকছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চার-চাকা কেনার দারুণ সুযোগ! ৭০০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে এই গাড়িগুলি
এর কী প্রভাব হতে পারে?
ডলারের সাপেক্ষে টাকার দরপতনের জেরে দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে ঘাটতি তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে আমদানি বিলও বৃদ্ধি পাবে। আসলে টাকার দর পতন হলে আমদানি অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ হয়ে উঠবে। ফলে বাইরে থেকে কোনও কিছু আমদানি করার ক্ষেত্রে ভারতীয় আমদানিকারীদের এখন ডলারের সাপেক্ষে বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। এ-দিকে দেশে যত পরিমাণ অপরিশোধিত তেল ব্যবহার করা হয়, তার ৮৫ শতাংশই আমদানি করে ভারত। বোঝাই যাচ্ছে, ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অপরিশোধিত তেল আমদানিতে অনেক বেশি খরচ করতে হবে তেল কোম্পানিগুলিকে। ফলে তাদের উপর এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা চাপতে চলেছে। আর এতে তাদের উপর অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির চাপও অনেকটাই বাড়বে।
আরও পড়ুন: এই ভাবে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে কনফার্ম সিট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে....
আবার তেল কোম্পানিগুলো তেল বা জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিলে মাল বহনের খরচ বাড়বে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বাড়তে চলেছে। যার আঁচ গিয়ে পড়বে মধ্যবিত্তদের দৈনন্দিন জীবনেও। যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের উপরেও টাকার দর পতনের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। সহজ ভাবে বলতে গেলে, এখন থেকে তাঁদের ডলারের সাপেক্ষে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। যার ফলে তাঁদের খরচও অনেকটাই বাড়বে। আর ভারতীয় টাকা বা রুপি দুর্বল প্রবণতার জেরে দেশের বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়বে। হিসেব বলছে, ২০২২ সালের জুন মাসের বাণিজ্য ঘাটতি ২৫.৬৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে।