কেউ যদি নিজের কেরিয়ারের শুরু থেকেই নিয়মিত বিনিয়োগ শুরু করেন, তবে খুব সহজে এবং শীঘ্রই তিনি আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবেন। এই প্রতিবেদনে এমন ৫টি টিপস দেওয়া হল, যার মাধ্যমে ২০-২১ বছরের বয়সী ছেলে-মেয়েরা ৩০ বছর বয়সের পার করতে না-করতেই আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে যাবেন। যার ফলে বেশি দিন চাকরির দায়িত্ব কাঁধে বয়ে বেড়াতে হবে না, অর্থাৎ সময়ের আগেই অবসর নিয়ে ফেলতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনা ও রুপোর দামে ভারী পতন, দেখে নিন আপনার শহরে ১০ গ্রামের দাম
কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট:
দেবিকা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঙ্কিত আগরওয়াল বলছেন, কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের জন্য বিনিয়োগের একটি উপযুক্ত বিকল্প। যাঁরা ৩০ বছর বয়সের মধ্যে আর্থিক ভাবে স্বাধীন হতে চাইছেন, তাঁরা কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট যেমন- অফিস, রিটেল এবং গুদাম জাতীয় নিরাপদ বিকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। অঙ্কিত আগরওয়ালের মতে, গ্রেড-এ অফিস স্পেস গড়ে ৬-৭ শতাংশ এবং রিটেল ইউনিটগুলি ৭-৯ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিতে পারে।
এসআইপি:
কম সময়ের মধ্যে বেশি পরিমাণে রিটার্ন পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল এসআইপি। এসআইপি হল এমনই একটি সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, যা বিনিয়োগের অর্থকে দ্বিগুণ অথবা তিন গুণ করে দিতে পারে। এসএজি ইনফোটেক-এর এমডি অমিত গুপ্ত বলেছেন যে, ২৫ বছর বয়স থেকেই এসআইপি-তে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।
পিপিএফ:
কম বয়সে বিনিয়োগের আর একটি ভালো বিকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ (PPF)। এটি গ্রাহককে একটি নির্ধারিত হারে নির্দিষ্ট রিটার্ন দেয় এবং সম্পূর্ণ রূপে ঝুঁকিহীন হয়। এ-ছাড়া, পিপিএফ-এর ক্ষেত্রে আয়কর আইন ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যায়। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হলে পিপিএফ থেকে যে অর্থরাশি পাওয়া যাবে, তা সম্পূর্ণ করমুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ অগাস্ট বাতিল করা হল ১৫৪টি ট্রেন, এখনই দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা!
ক্রিপ্টো সম্পদ:
যাঁদের ক্রিপ্টো সম্পদের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে, তারা কেরিয়ারের শুরু থেকেই এই বিকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে দুটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। ক্রিপ্টো মার্কেটের সূচক নিচে নামার পরই বিনিয়োগ করা উচিত। বিনিয়োগ করার আগে ওই সম্পদের অতীতের ওঠা-নামা যাচাই করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
শেয়ার বাজার:
শেয়ার মার্কেট খুব সহজেই মুদ্রাস্ফীতিকে এড়িয়ে দুর্দান্ত রিটার্ন প্রদান করতে পারে। এই কারণেই সাধারণত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের প্রতি আকৃষ্ট হন। জিসিএল কোম্পানির সিইও রবি সিঙ্ঘল জানিয়েছেন যে, আমরা যদি নিফটি ৫০-এর কথা ভেবে দেখি, তবে দেখা যাবে যে, এর সিএজিআর (CAGR) বিগত ২০ বছর ধরে ১৪ শতাংশ রয়েছে।