তবে আমরা সচরাচর জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা কিংবা হোম বীমা অথবা অটো বীমা করিয়ে থাকে। তবে আপনি যদি কৃষক হন, তবে আপনার জমির ফসলে করে ফেলুন ‘বাংলার শস্য বীমা’। খরা ও বন্যার কারণে প্রায় প্রতিবছরই কোনও না কোনও স্থানে ফসল নষ্ট হতে দেখা যায়। এই ‘শস্য বীমা’ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আপনার ফসলকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জবাব নেই ছোলার ছাতুর! অতিরিক্ত খেলেও কিন্তু শরীরের বিরাট ক্ষতি! কারা ভুলেও ছোঁবেন না? জানুন
ফসল কাটার পরে ক্ষতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মৌসুমী বৃষ্টিপাত, কীটপতঙ্গ, ফসলের রোগ ইত্যাদির কারণে ফসল লাগানোর পর যদি কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি হয় তবে ফসল বীমা কৃষককে সুরক্ষা প্রদান করে। পাট, ভুট্টা, ধান, গম, আলু প্রভৃতি ফসলের উপর পাওয়া যাবে এই আর্থিক সাহায্য। যদিও বীমার ক্ষেত্রে কিছু টাকার প্রিমিয়াম দিতে হয়। ইটাহার ব্লক কৃষি সহকর্তা গৌরব সাহা জানান, কৃষি কল্যাণমূলক একটি প্রকল্প হল বাংলার শস্য বীমা। আমরা যেমন বাড়ি, গাড়ি বা জীবন বীমা করে থাকি।
এই সমস্ত বীমার ক্ষেত্রে যেমন একটা প্রিমিয়াম দিতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কোনওরকম প্রিমিয়াম কৃষকদের দিতে হবে না পুরো প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্রই প্রথমে শস্য বীমা প্রকল্পের ফর্মটি ডাউনলোড করে বের করতে হবে। তারপর, ফর্মে কৃষকের নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে। জমির কাগজ, ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড ও ব্যাংকের পাসবুক জমা দিয়ে, কত টাকার ফসল নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটাও উল্লেখ করতে হবে।
পিয়া গুপ্তা