উপহার হিসেবে গয়না কিনতে চাইলে আলাদা কথা। কিন্তু যদি লগ্নির মাধ্যম হিসেবে সোনায় টাকা ঢালার কথা ভাবা হয় তাহলে কয়েকটি বিষয় ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে। গত কয়েক বছরে সোনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে। যেখানে ধাতব সোনা না কিনেও তা পকেটে আসে। কাগজের মাধ্যমে। প্রয়োজনের সময়ে সেই কাগজ ভাঙিয়ে আবার সত্যিকারের সোনা কেনা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই সোনা কেনার এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা জনপ্রিয়ও হয়েছে। আগামী দিনে এই জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। কারণ, ধাতব সোনায় যে সুবিধা পাওয়া যায়, তার সবই মেলে কাগুজে সোনায়। পাশাপাশি মেলে সুরক্ষা-সহ বাড়তি কিছুও।
advertisement
আরও পড়ুন: আমাদের যথেষ্ট আর্থিক নিরাপত্তা রয়েছে তো?স্ত্রীর সঙ্গে এই কথোপকথনের জন্য তৈরি হন!
গোল্ড ইটিএফ: একটি গোল্ড ইটিএফে যে তহবিল সংগৃহীত হয়, তা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ফান্ড সোনা কেনে। এটা হল সোনায় বিনিয়োগ করার সবচেয়ে ভালো উপায়। বিনিয়োগ করা টাকা সরাসরি খাটানো হয় সোনায়। হলুদ ধাতুর দামের ওঠাপড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফান্ডের ইউনিটের দর বাড়ে-কমে। গোল্ড ইটিএফ কিনতে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট লাগে।
গোল্ড ইটিএফ এবং গোল্ড ফান্ড এক নয়। বিভিন্ন ফান্ড সংস্থা বাজারে গোল্ড ফান্ড ছাড়ে, যারা সোনা ও তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করে। এরই মধ্যে যারা সরাসরি সোনায় টাকা খাটায় এবং যার ইউনিট স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়, তারাই হল গোল্ড ইটিএফ।
আরও পড়ুন: আরও বাড়ল দাম! দেখে নিন আপনার শহরে পেট্রোল-ডিজেলের লেটেস্ট রেট
দোকান থেকে সোনা কেনার সময় তার খাত, দোকানের বিশ্বাসযোগ্যতা, বাজারদর থেকে কতটা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে তা বুঝে নিতে হয়।কাগুজে সোনায় সেই চাপ নেই। বরং দরের পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে মিলবে সুদ এবং সুরক্ষা।
আরও পড়ুন: গোবর থেকে ব্যাগ, চপ্পল বানিয়ে বছরে ৩৬ লাখ! জেনে নিন কীভাবে!
গোল্ড ফান্ড: যে সমস্ত মিউচুয়াল ফান্ড মূলত সোনায় লগ্নি করে, তারাই গোল্ড ফান্ড নামে পরিচিত। এর সুবিধা হল, ১) মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই খুব কম টাকা দিয়ে লগ্নি শুরু করা যায়। এমনকী, সেই অঙ্ক মাসে ৫০০ টাকাও হতে পারে। অর্থাৎ, পাকা বা গয়না সোনার মতো এক সঙ্গে বড় টাকা ঢালার সমস্যা নেই। ২) সহজেই কেনা-বেচা করা যায়। ৩) নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিক্রি করলে কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি চার্জ লাগলেও, পরে বিক্রি করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাড়তি চার্জ গুনতে হয় না।