TRENDING:

Gerbera Farming: ধান-আলু নয়! সেড হাউস বানিয়ে জারবেরা চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয় সম্ভব, জানুন বিশেষজ্ঞের টিপস

Last Updated:

West Midnapore Gerbera Farming: পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন হাটের এক যুবক আধুনিক সেড হাউসে জারবেরা চাষ করে প্রমাণ করেছেন ফুলই হতে পারে স্থায়ী রোজগারের বড় উৎস।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
চন্দ্রকোনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নতুন হাট এলাকার এক যুবকের উদ্যোগ আজ বদলে দিচ্ছে এলাকার কৃষিচিত্র। বক্সি পরিবারের তরুণ প্রজন্ম প্রায় তিন বিঘে জমিতে জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করে দেখিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র ধান আলু নয়, ফুলও হতে পারে স্থায়ী রোজগারের বড় উৎস। এলাকার মানুষ আগে জানতই না যে জারবেরা ফুল চাষ এত লাভজনক হতে পারে। কিন্তু তাদের এই উদ্যোগ এখন স্থানীয় যুব সমাজের কাছে নতুন প্রেরণা হয়ে উঠেছে। সারাবছর ফুলের চাহিদা থাকায় ক্ষতির সুযোগ কম, বাজারও প্রস্তুত। রঙিন, আকর্ষণীয় এবং অনুষ্ঠানে ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় জারবেরা ফুলের চাহিদা সবসময়ই থাকে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন নতুন হাটের এই উদ্যোগী যুবক। এখন প্রতিদিনই খামার থেকে ফুল সংগ্রহ করে পাঠান হয় বিভিন্ন বাজারে মেদিনীপুর, কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলোতে। এই সাফল্য প্রমাণ করছে, সঠিক পথ বেছে নিলে গ্রাম থেকেই তৈরি করা যায় বড় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
advertisement

জারবেরা চাষের সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ দু’টি বড় সেড হাউস। এই ২টি আধুনিক সেডে তাপমাত্রা, বাতাস চলাচল, আর্দ্রতা, আলো ও জলসেচ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হয় বৈজ্ঞানিকভাবে। এখানে মোট পাঁচ রকমের জারবেরা উৎপাদিত হচ্ছে লাল, কমলা, গোলাপি, হলুদ আর সাদা। দূর থেকে দেখতে অনেকটা সূর্যমুখী ফুলের মত হলেও রঙের উজ্জ্বলতা ও ফুলের স্থায়িত্ব জারবেরাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।খামারের মালিক জানান, এই গাছের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য গাছ থেকে নতুন করে চারা তৈরি হয় না।

advertisement

আরও পড়ুন: বিটেক কিংবা ফার্স্ট ক্লাস এমটেক হলেই আইআইটি-তে চাকরি, জানুন বিস্তারিত

তাই মানসম্পন্ন টিস্যুকালচার প্ল্যান্ট বিশেষ নার্সারি থেকে এনে রোপণ করতে হয়।একবার রোপণ করলে একটি জারবেরা গাছ চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত টানা ফুল দেয়, তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিচর্যার উপরই নির্ভর করে পুরো চাষের সাফল্য।প্রতিদিন সকালে শ্রমিকরা সেডে ঢুকে প্রথমেই ফুল সংগ্রহ করেন। এরপর গাছগুলোকে পর্যাপ্ত জল দেওয়া, মাটিতে জৈবসার প্রয়োগ, ছত্রাক ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ এসব কাজ নিয়মিত করা হয়। ড্রিপ ইরিগেশন থাকায় জল অপচয় কমে, আর সেডের ভেতরে নিয়মিত বাতাস চলাচল ভেজাভাব কমিয়ে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: বিক্রি নিয়ে চিন্তা থেকে চাহিদা মেটাতে হিমশিম! ৪ হাজার টাকা ভাগ্য বদলাল চন্দ্রকোনার ব্যবসায়ীর! মাশরুমের বিজনেস আইডিয়াতে এখন আয় অঢেল

বক্সি পরিবারের মতে, জারবেরা গাছ ‘যতটা যত্ন, ততটা ফল’। আর সেই নিয়ম মেনেই চলছে প্রতিটি ধাপ। জারবেরা ফুলের বাজার ভারতের সব জায়গাতেই স্থিতিশীল। বিয়ে, রিসেপশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্টেজ ডেকোরেশন, হোটেল রেস্তোরাঁ সব জায়গায় ব্যাপক ব্যবহার। বক্সি পরিবার বলছে, “আমাদের এই উদ্যোগ যদি আরও একজন যুবককে অনুপ্রাণিত করে, তবেই আমাদের পরিশ্রম সফল।”ভবিষ্যতে তারা সেড বাড়িয়ে আরও বেশি ফুল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছেন। পাশাপাশি দূরের বড় মার্কেটেও ফুল পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। সব মিলিয়ে নতুন হাটে জারবেরা ফুল আজ শুধু একটা চাষ নয়—একটা স্বপ্ন, একটা সম্ভাবনা, একটা নতুন পথের গল্প।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ধান-আলু নয়! সেড হাউস বানিয়ে জারবেরা চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয় সম্ভব
আরও দেখুন

বর্তমানে বাজারে একটি জারবেরা ফুল পাঁচ থেকে ছয় টাকা দরে সহজেই বিক্রি হয়। ভাল মৌসুমে দাম আরও বাড়ে। ফুল সারাবছরই ফোটে, ফলে প্রতিদিনের আয়ও নিশ্চিন্ত। প্রতিটি গাছ থেকে নিয়মিত ফুল সংগ্রহ হওয়ায় খামারের আর্থিক প্রবাহ সবসময় সক্রিয় থাকে। এই চাষের লাভ দেখে স্থানীয় অনেক যুবক এখন এগিয়ে আসতে চাইছেন। কেউ কেউ খামারে এসে শিখছেন, কেউ আবার নিজের জমিতেও সেড বানানোর পরিকল্পনা করছেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Gerbera Farming: ধান-আলু নয়! সেড হাউস বানিয়ে জারবেরা চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয় সম্ভব, জানুন বিশেষজ্ঞের টিপস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল