সেই জন্য উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার অনেক কৃষকদের একটি বড় অংশ এই সময় ধান চাষের পাশাপাশি সবজি হিসেবে বেগুন চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বেগুন চাষের জন্য। বীজ থেকে চারা বের হওয়ার পর মূলত মাটি আলগা করা এবং ঘাস পরিষ্কার করা হয় । গাছ একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। গাছ বেড়ে ওঠার এক মাস পর থেকেই শুরু হয় ফল দেওয়ার।
advertisement
আরও পড়ুন: পড়ুয়া থেকে অফিসের বস, সবার পকেটে থাকবে আপনার প্রোডাক্ট! এই ব্যবসা করলে মালামাল
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জের বরুনহাট এলাকার গ্রামের কৃষক সুকুমার দাস তিনি কয়েক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন যা একেবারে জৈব পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতির ফলে একদিকে যেমন ফলন বেশি হবে অন্যদিকে অল্প সময় থেকেই ফলন পাওয়া যাবে।
চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী রাসায়নিক সারের পরিবর্তে এভাবে চাষ প্রথা অনেকটাই লাভজনক বলে জানা যায়। তবে বর্তমানে চাষের কাজে বেশ কিছুটা বাড়তি খরচ হলে সেই পরিমাণে দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে আক্ষেপ কৃষকের। তবে তিনি বলেন সারা বছরই এই চাষ করে থাকেন তিনি। দুই থেকে আড়াই মাসে ফলন পাওয়া যায়। রাসায়নিক সার কম দিয়ে জৈব সার ব্যবহারের কথা তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে ১২ মাসের FD-তে ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করছেন? কত রিটার্ন পাবেন দেখে নিন
গত কয়েক বছর ধরে তিনি বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বেশি ফলন ও লাভের আশায় এখন চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ প্রথা ছেড়ে বেগুন চাষে জোর দিচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় বাজার থেকে বাজারজাত হয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে।
জুলফিকার মোল্লা