চারপাশে জমিতে ধান, আলু ও নানা সবজি আর তারই মাঝে জমিতে চাষ হচ্ছে উজ্জ্বল কমলা ও হলুদ রঙের গাঁদা ফুল। শুধু আলু বা ধান চাষের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, চাষিমানা এলাকার কৃষকরা এখন গাঁদা ফুল চাষে পেয়েছেন নতুন পথের সন্ধান। অল্প খরচে, কম সময়ে, অধিক লাভের এই নতুন কৌশল শুধু তাদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যই দিচ্ছে না, বরং কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সারাবছর অন্যান্য বিভিন্ন চাষ করলেও শীতের মরশুমে তারা করছেন গাঁদা ফুলের চাষ।
advertisement
আরও পড়ুন: একটি-দু’টি নয়, এবার ১ টাকায় ৫টি ফুচকা মিলছে বর্ধমানের দোকানে! তবে রয়েছে শর্ত
রানাঘাট ও মেদিনীপুর থেকে চারা নিয়ে আসেন কৃষকরা এবং সেই গাছ জমিতে বসান। আবার অনেক সময় একবার গাছ হলে তার শিকড় কাটিং করেও বসানো যায় নতুন গাছ। এক একটি গাছে ফুল হয় প্রায় তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত। তারপর আবার বসাতে হয় নতুন গাছ। ফুল আসতে সময় লাগে এক থেকে দেড় মাস, কিন্তু গাছে ফুল এলে তিন থেকে চার দিন অন্তর ফুল তুলতে পারবেন গাছ থেকে যা বাজারে প্রতি কিলো ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। এক চাষি জানান, আষাঢ় মাসে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন জমিতে। গাছে ফুল আসার পর থেকে ৩০ থেকে ৫০ কেজি করে ফুল উঠে জমি থেকে। পুজোর মরশুমে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হয়, এখন ৫০-৬০ টাকা হিসাবে বিক্রি হয়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ধান বা আলু চাষের থেকে লাভ বেশি তাই ফুলের চাষ করছি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চাষিমানা এলাকার চাষিদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, প্রচলিত ফসলের বাইরেও বিকল্প চাষের সম্ভাবনা কতটা উজ্জ্বল। তাদের এই উদ্যোগ শুধু স্থানীয় চাষিদের জন্য অনুপ্রেরণা নয়, বরং রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের চাষিদের কাছেও এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। গাঁদা ফুল চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছেন তারা।





