মৌমিতার পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। স্বামীর রোজগারে কোনওমতে চলত সংসার। সংসারে আর্থিক সহযোগিতা করতে কম্পিউটারে বিভিন্ন ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানে ছোট-খাটো কাজ করেছিলেন সামান্য রোজগারের আশায়। তাতেও যা রোজগার হত, তা দিয়ে সামাল দেওয়া যেত না। তার ওপর ছেলেকে মানুষ করার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর দু-চোখে।ভাবনা ছিল নিজে কিছু একটা করবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আজ রাত থেকে টানা ১১ ঘণ্টা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলবে না, শিয়ালদহ থেকে কোন রুটে বন্ধ ট্রেন? জানুন
কিন্তু কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। স্যোশাল মিডিয়ায় হঠাৎ একদিন নজরে আসে মোমো তৈরির বিষয়। সেখান থেকে তিনি শিখে নেন মোমো তৈরি। এরপর পাঁচশো টাকা নিয়ে শুরু করেন মোমোর ব্যবসা। তবে শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না। মোমো বানানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না তিনি। তাই তাঁর তৈরি মোমো গ্রাহকরা ঠিকমতো নেবেন কিনা, তা নিয়ে মনে আশঙ্কা ছিল। পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাধা আসার আশঙ্কা করতেন। তবে ব্যবসা শুরু করার পর থেকে তাঁর কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ায় আরও উৎসাহ বাড়ে মৌমিতার। ভেজ , চিকেন দু-ধরনের মোমো নিয়েই শুরু হয় তাঁর ছোট্ট ব্যবসা।
আরও পড়ুনঃ ‘ও তোর মেয়ে’, তারপর শোভন…! মহুলের জন্মদিনের পোস্টে আচমকা কেন এমন লিখলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়?
মৌমিতার তৈরি ভেজ মোমো ৪০ টাকা ও চিকেন মোমো ৫০ টাকায় বিকোচ্ছে দেদার। দোকানে মোমো খেতে আসা খদ্দেররাও ভাল বলেছেন। এক খদ্দের বলেন, ‘আমার গ্রামে বাড়ি, বর্ধমানে থাকি। ওনার তৈরি মোমো খেয়েছি, মোমোর কোয়ালিটি বেশ ভাল। আমার ভাল লেগেছে।অন্যদেরকেও বলবএখানে এসে মোমো টেস্ট করার জন্য।’
প্রথম যখন মৌমিতা এই ব্যবসা শুরু করেন তখন তিনি ভাবতে পারেননি তার এই ব্যবসা তাঁকে স্বনির্ভরতার পথ দেখাবে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছোট্ট একটা টেবিল নিয়ে তার এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। মাত্র দেড় মাসেই তিনি স্বাবলম্বী। মাসে এখন তাঁর ১৫ হাজার টাকা রোজগার। তিনি জানিয়েছেন, আগামীদিনে এই ব্যবসাকে তিনি আরও বড় করে তুলতে চান।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী