জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে তিনি বেছে নিয়েছেন একটি বিশেষ পদ্ধতি-ধনচে চাষ। ধনচে গাছ সাধারণত পশুখাদ্য হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি মাটির জৈব উপাদান বাড়িয়ে জমিকে উর্বর করে তোলে।
advertisement
আরও পড়ুন: অল্প খরচে চিয়া বীজ চাষ করে বিপুল টাকা লাভ ! দেখে নিন কীভাবে
তেঁতুল পাতার মতো দেখতে এই গাছটি রোপণের দেড় মাসের মধ্যেই ছয় থেকে সাত ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। পরিণত হলে গাছ কেটে জমিতে রেখে পচিয়ে দেওয়া হয়, যা প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করে। ফলে মাটির জৈবগুণ ও উর্বরতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। গ্রামবাংলায় এই গাছ ‘ধনচে’ নামে পরিচিত এবং আগে বহু চাষি এটি ব্যবহার করতেন মাটির গুণমান উন্নত করতে।
আরও পড়ুন: অনুর্বর মাটিতে জাদু, জঙ্গলমহলের মানুষকে স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ বার্তা
এছাড়া, ধনচে গাছের দানা পাখির খাদ্য হিসেবে এবং গাছটি পশুখাদ্য হিসেবেও বাজারে চাহিদা রাখে, ফলে এটি চাষ করে অর্থনৈতিক লাভও অর্জন করা সম্ভব। জালালউদ্দিনের এই প্রয়াস কেবল জমির গুণগত পরিবর্তন আনছে না, বরং স্থানীয় যুবসমাজের মধ্যে কৃষি উদ্যোগের নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
জুলফিকার মোল্যা