Digha: সব শুনশান! এ কী হাল দিঘার? লক্ষ্মীপুজোর আগে ভরাডুবি সমুদ্র সৈকতে! কেন এমন হল?

Last Updated:
Digha: টানা বৃষ্টিতে ফাঁকা সৈকত! পুজোর শেষ বেলায়ও নিরাশ হোটেল মালিকরা। দিঘার এ কী হাল? দেখলে কান্না পাবে।
1/6
লক্ষী পুজোর আগে দিঘার হোটেল মালিকদের লক্ষ্মী লাভের আশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। পুজোর শুরুর দিনগুলিতে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও, শেষের দিকে ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছিল। হোটেল বুকিংও কিছুটা হলেও আশাব্যঞ্জক ছিল। হঠাৎ করেই পুজোর দশমীর রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দিঘার পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। হোটেল ব্যবসায়ীরা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি) no tourist in Digha beach due to heavy rain
লক্ষীপুজোর আগে দিঘার হোটেল মালিকদের লক্ষ্মী লাভের আশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। পুজোর শুরুর দিনগুলিতে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও, শেষের দিকে ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছিল। হোটেল বুকিংও কিছুটা হলেও আশাব্যঞ্জক ছিল। হঠাৎ করেই পুজোর দশমীর রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দিঘার পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। হোটেল ব্যবসায়ীরা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
দশমীর রাত থেকেই শুরু হওয়া নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে দিঘা। শনিবারও থামেনি সেই দুর্যোগ। একটানা কখনো প্রবল বৃষ্টি আবার কখনও মেঘলা আকাশে ঘনঘটা, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। হঠাৎ পরিবর্তিত এই আবহাওয়ার কারণে পর্যটকরা হোটেল ছাড়তে শুরু করেন। অনেকেই বুকিং বাতিল করেছেন। যারা আসার পরিকল্পনা করেছিলেন তারাও শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে দিয়েছেন। এতে পর্যটন শিল্প এক ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দশমীর রাত থেকেই শুরু হওয়া নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে দিঘা। শনিবারও থামেনি সেই দুর্যোগ। একটানা কখনো প্রবল বৃষ্টি আবার কখনও মেঘলা আকাশে ঘনঘটা, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। হঠাৎ পরিবর্তিত এই আবহাওয়ার কারণে পর্যটকরা হোটেল ছাড়তে শুরু করেন। অনেকেই বুকিং বাতিল করেছেন। যারা আসার পরিকল্পনা করেছিলেন তারাও শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে দিয়েছেন। এতে পর্যটন শিল্প এক ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
advertisement
3/6
পুজোর মরশুমের শেষ দিকটা হোটেল মালিকরা ভরসার জায়গা হিসেবেই দেখছিলেন। একে পুজোর মাস তার ওপর শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনে পর্যটকের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে দিঘা, মন্দারমণি ও শংকরপুরে। সেই আশাতেই হোটেল কর্তৃপক্ষ নতুন বুকিংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। লক্ষী পুজোর আগে লক্ষ্মী লাভের আশা দেখছিলাম তারা। তবে বৃষ্টি শুরু হতেই ভিড় কমে যায় হু হু করে। সৈকতে বেড়াতে নামার পরিবর্তে পর্যটকরা হোটেলের ভেতরেই বন্দি হয়ে পড়েন। পর্যটক সংখ্যা কমতে থাকায় স্থানীয় দোকান, রেস্তরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিয়েছে।
পুজোর মরশুমের শেষ দিকটা হোটেল মালিকরা ভরসার জায়গা হিসেবেই দেখছিলেন। একে পুজোর মাস তার ওপর শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনে পর্যটকের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে দিঘা, মন্দারমণি ও শংকরপুরে। সেই আশাতেই হোটেল কর্তৃপক্ষ নতুন বুকিংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। লক্ষী পুজোর আগে লক্ষ্মী লাভের আশা দেখছিলাম তারা। তবে বৃষ্টি শুরু হতেই ভিড় কমে যায় হু হু করে। সৈকতে বেড়াতে নামার পরিবর্তে পর্যটকরা হোটেলের ভেতরেই বন্দি হয়ে পড়েন। পর্যটক সংখ্যা কমতে থাকায় স্থানীয় দোকান, রেস্তরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিয়েছে।
advertisement
4/6
বৃষ্টির কারণে দিঘার সমুদ্রও বিপজ্জনক রূপ নেয়। কখনো কখনো সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ কংক্রিটের গাড়োয়াল টপকে আছড়ে পড়ছে। সকাল থেকে বারবার মাইকে সতর্ক করা হয় উত্তাল অবস্থায় যেন কেউ সৈকতের ধারে না যায়। ফলে ভ্রমণপ্রেমীদের অনেকেই নিরাশ হয়ে হোটেলেই দিন কাটাচ্ছেন। এভাবে পর্যটনের রঙিন মৌসুম একেবারে ম্লান হয়ে গেছে।
বৃষ্টির কারণে দিঘার সমুদ্রও বিপজ্জনক রূপ নেয়। কখনো কখনো সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ কংক্রিটের গাড়োয়াল টপকে আছড়ে পড়ছে। সকাল থেকে বারবার মাইকে সতর্ক করা হয় উত্তাল অবস্থায় যেন কেউ সৈকতের ধারে না যায়। ফলে ভ্রমণপ্রেমীদের অনেকেই নিরাশ হয়ে হোটেলেই দিন কাটাচ্ছেন। এভাবে পর্যটনের রঙিন মৌসুম একেবারে ম্লান হয়ে গেছে।
advertisement
5/6
পুজোর শুরুতে আশানুরূপ বুকিং হয়নি। শেষ বেলায় পর্যটক আসায় কিছুটা লাভের আশা করেছিলেন। কিন্তু আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তনে সেই আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল। দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, “পূজোর শেষ দিকে ভিড় ভালো হচ্ছিল। ভাবছিলাম শনিবার ও রবিবার পর্যটকের ঢল নামবে। কিন্তু নিম্নচাপের কারণে শনিবার দিঘা কার্যত ফাঁকা।
পুজোর শুরুতে আশানুরূপ বুকিং হয়নি। শেষ বেলায় পর্যটক আসায় কিছুটা লাভের আশা করেছিলেন। কিন্তু আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তনে সেই আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল। দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, “পূজোর শেষ দিকে ভিড় ভালো হচ্ছিল। ভাবছিলাম শনিবার ও রবিবার পর্যটকের ঢল নামবে। কিন্তু নিম্নচাপের কারণে শনিবার দিঘা কার্যত ফাঁকা।"
advertisement
6/6
প্রকৃতির অনিশ্চয়তা যে দিঘার পর্যটন শিল্পকে কতখানি ভোগাচ্ছে তা ফের প্রমাণিত হল পুজোর ছুটিতে। উৎসবের মৌসুমে পর্যটকের আনাগোনা যেখানে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে পারত, সেখানে হঠাৎ দুর্যোগ সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল। হোটেল, রেস্তরাঁ, দোকানপাট, সব ব্যবসাতেই পড়েছে প্রভাব। এখন আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আসন্ন শীতকালে দিঘা আবার পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হবে। ততদিন পর্যন্ত হোটেল ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতির ভার বইতে হবে।
প্রকৃতির অনিশ্চয়তা যে দিঘার পর্যটন শিল্পকে কতখানি ভোগাচ্ছে তা ফের প্রমাণিত হল পুজোর ছুটিতে। উৎসবের মৌসুমে পর্যটকের আনাগোনা যেখানে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে পারত, সেখানে হঠাৎ দুর্যোগ সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল। হোটেল, রেস্তরাঁ, দোকানপাট, সব ব্যবসাতেই পড়েছে প্রভাব। এখন আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আসন্ন শীতকালে দিঘা আবার পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হবে। ততদিন পর্যন্ত হোটেল ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতির ভার বইতে হবে।
advertisement
advertisement
advertisement