Agriculture News: অনুর্বর মাটিতে জাদু, জঙ্গলমহলের মানুষকে স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ বার্তা

Last Updated:

Agriculture News: পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা নিয়ে জঙ্গলের অনুর্বর জমিতে ফলের চাষ, জঙ্গলমহলের মানুষকে নতুন আয়ের দিশা অধ্যাপকের।

+
ফলের

ফলের চাষ অধ্যাপকের

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাগানের মধ্যেই ফলছে লাখ টাকার জাপানি আম। তবে এবার তার মধ্যেও রয়েছে ভিন্নতা। বেগুনি এবং লাল রং এর মিয়াজাকি ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের এক অধ্যাপক। পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা নিয়ে জৈব সার প্রয়োগ করে ১৪ একর জমিতে ফলের বাগান তৈরি করেছেন এই অধ্যাপক। মাত্র ১ বছরেই ফলেছে মিয়াজাকি-সহ নানা বিদেশি আম। শুধু তাই নয়, বিশালাকার এক ফলের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন তিনি। যার থেকে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের এবং জঙ্গলমহলের জঙ্গল কেন্দ্রিক মানুষজনকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ বার্তা। লাখ টাকার আম ফলিয়ে বেশ মুনাফা অর্জনের আশায় রয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় বাণিজ্যিকভাবেও একটি বিশেষ প্রজাতির আম চাষ করেছেন এই অধ্যাপক।
মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন দেলুয়া এলাকায় প্রায় ১৪ একর জমিতে অধ্যাপকের এই সুবিশাল ফলের বাগান। নাম দিয়েছেন ‘ফরেস্ট পার্ক’। কী নেই সেখানে! আম, পেয়ারা, পেঁপে, মুসুম্বি, লেবু প্রভৃতি ফলের গাছ থেকে শুরু করে ফুল, সবজি, মাশরুম-সহ হাজারও ফলের সম্ভার। বেশ কয়েক একর জায়গা জুড়ে ফলের বাগান গড়ে তোলা, উদ্দেশ্য শিক্ষিত যুব প্রজন্মকে বিকল্প আয়ের সন্ধান দেখানো। তরুণ অধ্যাপকের এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতিও। আর জঙ্গলের মাঝে অনুর্বর জমিকেই উর্বর করে যিনি এই জাদু দেখাচ্ছেন। ঝাড়গ্রাম জেলার কাপগাড়ির সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার দাস। মেদিনীপুর শহরেরই উদ্যোগী কয়েকজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘সৃজনী এগ্রো ফাউন্ডেশন’। পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা নিয়ে এই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় বিশাল আকার জায়গা জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ লাগিয়েছেন তিনি।
advertisement
advertisement
মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে যুক্তির ভিত্তিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে কামাল করেছেন তরুণ অধ্যাপক প্রশান্ত। মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে দেলুয়া সংলগ্ন এলাকায় কার্যত জঙ্গলের মাঝে এক অনুর্বর, পতিত জমিই তাঁর হাতের জাদুতে হয়ে উঠেছে উর্বর। মাত্র ১ বছরের গাছেই সেখানে ফলেছে জাপানের মিয়াজাকি আম (রেড ও পার্পেল দুই ধরনের), আমেরিকার রেড পালমার, দক্ষিণ আফ্রিকার রেড আইভরি আর ভারতের বিখ্যাত আলফানসো আম। এছাড়াও, বাগানের প্রধান আকর্ষণ ‘অলটাইম’ কাটিমন আম। একটু যত্ন নিলে সারা বছরই ফলে এই আম। এছাড়াও, বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে পেঁপে, বারুইপুর পেয়ারা, ভারতসুন্দরী কুল, মুসুম্বি, লেবু প্রভৃতি। আর এই সবকিছুই অধ্যাপক করছেন শুধুমাত্র জৈব সারের প্রয়োগে।
advertisement
জঙ্গলমহলের অনুর্বর এই জমিতে ফলছে বিভিন্ন ফল। এছাড়াও, আছে একাধিক দেশি ও বিদেশি প্রজাতির আম। সবে এক বছরে বাগানের পেঁপে ও ভারতসুন্দরী কুল বেশ প্রশংসিত হয়েছে সকলের কাছে। তবে জঙ্গলমহলের মানুষকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ বার্তা।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Agriculture News: অনুর্বর মাটিতে জাদু, জঙ্গলমহলের মানুষকে স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ বার্তা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement