অল্প মূল্যে স্বাদ ও গুণগতমানের দিক থেকে সুইট কর্ন বা ভুট্টার জুড়ি মেলা ভার। সেই সুইট কর্ন চাষ করে এবার আয়ের দিশা দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা- ১ ব্লকের মহাবিশ্রা গ্রামের কৃষকেরা। সরকারি আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি দফতরের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে ওই গ্রামের কৃষকেরা পরীক্ষামূলকভাবে সুইট কর্ন চাষ করেছেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে সাত কোটি নাগরিকের জন্য সুখবর, পাওয়া যাবে ৫ লাখ টাকা, জেনে নিন কীভাবে…
advertisement
সেখানে অতি অল্প মূল্য ব্যয় করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন ওই তিনি। উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা, ভগবানপুর সহ বেশ কয়েকটি ব্লকের বাদাম ও ধান চাষের প্রচলন ছিল। সে ক্ষেত্রে খরচের তুলনায় লভ্যাংশ সুইট কর্নের থেকে অনেকটাই কম পেতেন চাষিরা। চলতি বছরে এগরা ব্লক কৃষি দফতরেরসহযোগিতায় বাদাম চাষ বন্ধ রেখে সুইট কর্ন চাষ শুরু করেন ৪ থেকে ৫ জন কৃষক।
ব্লক কৃষি দফতরেরতরফ থেকে বীজ ও যাবতীয় সার তাদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। তাতে প্রথমবারেই সুইট কর্ন চাষ করে সাফল্য পেয়েছে চাষিরা। সুইট কর্ন বিক্রির পাশাপাশি গাছের অংশও বাজারে বিক্রি হয়। যা পশু খাদ্য হিসেবে ভাল মূল্যে বিক্রি হয় বাজারে। ফলে সুইট কর্নের পাশাপাশি গাছ বিক্রি করেও মুনাফার মুখ দেখছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: সোনার দাম কমতে পারে ৩৮% পর্যন্ত ? কারণ জানলে চমকে উঠবেন !
বর্তমানে এগরা ব্লক জুড়ে এই চাষের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা গেছে। সুইট কর্ন চাষি কেবল চন্দ্র মন্ডল জানান, “শেষ বছর আমি বাদাম চাষ করে যে পরিমাণ লাভ পেয়েছি তার কয়েক গুণ বেশি লাভ এই সুইট কর্ন চাষ করে পাওয়া গেছে। আগামী দিনে এগরায় যাতে সুইট কর্নের মার্কেট করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ মিলে চাষিরা আরওউপকৃত হবেন।” বর্তমানে প্রোটিন যুক্ত ও সহজপাচ্য খাদ্য হিসেবে এই সুইট কর্ন বা ভুট্টার চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে কৃষকেরা এই সুইট কর্ন চাষ করেও অল্প দিনে লাভবান হবেন বলে দাবি কৃষি আধিকারিকদেরও। এগরা- ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা রিয়া সেন মন্ডল জানান, “সুইট কর্নের চাহিদা বর্তমানে দিনে দিনে বাড়ছে। তাই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে এগরায় চাষিদের দিয়ে এই চাষ শুরু করেছিলাম। তাতে ব্যাপক পরিমাণে সাফল্যের মুখ দেখছেন চাষিরা।
এতে আগামী দিনে আরও কৃষক এই সুইট কর্ন চাষে আগ্রহী হবেন।” মূলত উর্বর দোঁয়াশ এবং বেলে দোঁয়াশ মাটিতে ভুট্টা চাষ করা যায়। প্রাথমিকভাবে এই চাষের জন্য তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। যে জমিতে বাদাম চাষ করে এক একজন চাষী লাভ করেছিলেন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। চলতি বছর সুইট কর্নের চাষ করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখছেন তারা। ফলে আগামী দিনে ওইসব এলাকায় চাষের সংজ্ঞা বদলে যাবে।
সৈকত শী