Gold Price Fall: সোনার দাম কমতে পারে ৩৮% পর্যন্ত ? কারণ জানলে চমকে উঠবেন !
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
Gold Price Drop:এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই কারণগুলি কী কী-
সোনার দাম বর্তমানে রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সোনার দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা অনেক লাভবান হয়েছেন। একই সঙ্গে, যাঁরা বিয়ে বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সোনার গয়না ক্রয় করছেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। তবে আগামী কয়েক বছরে গ্রাহকরা বড় ধরনের স্বস্তি পেতে পারে। কারণ সোনার দামে ৩৮% পর্যন্ত পতন সম্ভব। সোমবার (৩১ মার্চ) ভারতে ২৪ ক্যারাট সোনার দাম ছিল প্রতি ১০ গ্রাম ৮৯,৫১০ টাকা। যদি এটি ৩৮% কমে যায়, তবে এটি প্রতি ১০ গ্রাম ৫৫,৪৯৬ টাকায় নেমে আসবে।
advertisement
advertisement
সোনার দাম এখন বাড়ছে কেন -সোনার দাম বর্তমানে প্রতি আউন্স $৩০৮০-এ পৌঁছেছে। অনেক কারণেই সোনা দামি হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা। এই কারণে নিরাপদ বিনিয়োগের সন্ধানে বিনিয়োগকারীরা সোনায় বিনিয়োগ করছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ বৈশ্বিক অস্থিরতা বাড়িয়েছে। এতে সোনার দাম বেড়েছে।
advertisement
advertisement
সোনার সরবরাহ দ্রুত বাড়ছে -প্রথম কারণ সোনার সরবরাহ দ্রুত বাড়ছে। সোনা যখন দামি হয়ে যায়, তখন আরও বেশি করে মানুষ তা খনন করতে শুরু করে। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সোনার খনি শ্রমিকদের গড় মুনাফা ছিল $৯৫০ প্রতি আউন্স, যা ২০১২ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালে বিশ্বের মোট সোনার মজুত ৯% বৃদ্ধি পেয়ে ২১৬,২৬৫ টন হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ২০২৪ সালে ১০৪৫ টন সোনা কিনেছিল৷ এটি টানা তৃতীয় বছর যেখানে ক্রয়ের পরিমাণ ১০০০ টনের উপরে রয়েছে৷ কিন্তু, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সমীক্ষা বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ৭১% বলছে যে, তারা আগামী বছর তাদের গোল্ড হোল্ডিং কমাতে পারে বা এটি আগের মতোই রাখবে। ঠিক যেমন, ২০২০ সালে যখন করোনা মহামারী আঘাত হানে, তখন সোনার দাম দ্রুত বাড়লেও পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে থাকে।
advertisement
সোনার দাম এখন শীর্ষে -ইতিহাস দেখায় যে, যখন একটি শিল্পে ডিলের সংখ্যা (M&A) দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তখন এটি সর্বোচ্চ দামের দিকে চলে যেতে পারে। ২০২৪ সালে সোনার শিল্পে ডিলমেকিং ৩২% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেখিয়ে দিয়েছে যে সোনার বাজার উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে।তার উপরে আবার, নতুন করে গোল্ড ফান্ডে (ETFs) বিনিয়োগ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পতনের আগে অতীতে দেখা অনুপাতকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে সোনার দাম শীর্ষে পৌঁছেছে এবং এবার একটি বড় পতনের সম্মুখীন হতে পারে।
advertisement
advertisement
ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা অনুমান করছে যে, এটি আগামী দুই বছরে $৩৫০০ প্রতি আউন্সে পৌঁছতে পারে। একই সময়ে, গোল্ডম্যান শ্যাক্স বিশ্বাস করে যে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এটি প্রতি আউন্স $৩৩০০-এ পৌঁছাতে পারে। তবে জন মিলস বিশ্বাস করেন যে, বর্তমান দর বৃদ্ধি সত্ত্বেও দীর্ঘ মেয়াদে সোনার দাম কমতে পারে এবং এটি সমর্থন করার জন্য তিনি উপরের যুক্তিগুলো তো পেশ করেছেনই- এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত তাঁর কথা সত্যি হয় কি না!