তবে এই চাষ এর কী উপকার,তার পাশাপাশি কী পদ্ধতি আর কতটা উপার্জন রয়েছে! এই বিষয়ে কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, চিয়া বীজ মূলত মধ্য আমেরিকার একটি উদ্ভিদ।পুদিনার একটি প্রজাতি।বিভিন্ন পোষক পদার্থের উপস্থিতির জন্য এটিকে সুপারফুড বলা হয়।প্রতি বিঘা জমিতে চিয়া বীজ উৎপাদন করতে খরচ হয় ১২-১৪ হাজার টাকার মত।বীজ উৎপাদন হয় ৭০-৮০ কেজি। প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হয় ৭০০-১০০০ টাকা দরে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চিয়া বীজ বপন করতে হয়। ফলন ঘরে তোলা যায় মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে।চিয়া বীজ উৎপাদনে জৈব সারের ব্যবহার বেশি করতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় স্বস্তি ! অবশেষে অনেকটাই কমল সোনার দাম
বোলপুর ব্লক কৃষি আধিকারিক শেখ জসীমউদ্দিন বলেন,যত দিন যাচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত কমে গিয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ার মূল কারণ পরিবেশ দূষণ।অন্যদিকে শুষ্ক মাটিতে এই চাষ হয়।তাই প্রাথমিক ভাবে চারজন কৃষককে দিয়ে চিয়া বীজ চাষের প্রবর্তন করা হয়েছে।ঠিকমতফলন হলে এক-একজন ৩৬ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন.চিয়া বীজের বাজারদর ভালো।চাষিরাও আগ্রহ দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থার জন্য কত টাকা জমানো উচিত, কোথায় রাখা উচিত? ছকে নিলে আর বিপদে দিশাহারা লাগবে না
চাষিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এক থেকে দুই বার লাঙল বা ট্রাক্টরের মাধ্যমে জমি চষতে হয়।ধান জমির মতজমি জলপূর্ণ করতে হয় না।অল্প ভেজা ভেজা উর্বর জমিতে বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়।বিঘা প্রতি আটশো গ্রাম থেকে এক কেজি বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়।অঙ্কুরোদগমের কিছুদিন পর অল্প জল দিতে হয় বেশি সেচ লাগে না।সাড়ে তিন থেকে চারমাসের মধ্যে ফলন হয়।আপনি চাইলে আপনার বাড়ির পাশে থাকা অল্প বাগানে এই চাষ করতে পারেন।তাহলে আপনাকে আর দোকান থেকে কিনতে হবেনা।
সৌভিক রায়





