সবজি চাষিরা জানান, এই মরশুমে প্রতিবছরই সিমের চাষ করা হয়। যখন বাকি এলাকা ধান চাষে ব্যস্ত থাকে ঠিক সে সময়ে গধেয়ারকুঠীর চরচরাবাড়ি, কুশামারী, বগরিবাড়ি-সহ গধেয়ারকুঠীর বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকরা সিম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকেন। অনেকেই আবার এক জমিতে একই মরশুমে সিম এবং ধান চাষ করে। সিমের পাশাপাশি ধান চাষও করা হয়। তবে সিম চাষ বেশি নজরে আসে। সেখানকার সবজি চাষিদের মধ্যে অনেকেই সিম বিক্রির টাকায় ধান কিনে আনেন বাড়িতে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২৫০ বছরে পা দিল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য বুড়িমা, দেখুন ভিডিও
দেখা যাচ্ছে সেই সবজি চাষিরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সারাদিন চাষিরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে। কয়েকমাস বিক্রি করেই লক্ষাধিক টাকা আসে চাষিদের ঘরে ঘরে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কম-বেশি সিম চাষ হয়। প্রতিবছরই বাজারে সিম আসে বেশি ভাগ কুশামারী, বগরিবাড়ি গ্ৰামের এলাকা থেকেই। বর্তমান এইসময়ে সিম খুব চাহিদা রয়েছে। তাই সিম ব্যবসায়ীরা দুয়ারে সিমে কিনতে চলে আসেন, মহাজনরা আসেন বিভিন্ন বড় বাজার থেকে।
যখন অন্য গ্রামের সবজি চাষিদের সিমের ফুল ফোটা শুরু হয়, সে সময় সিম বিক্রি হয় এই গ্রামে। এতটাই চাহিদা গধেয়ারকুটির সিম বিক্রয় করতে বাজারে পাড়ি দিতে হয় না কৃষকদের। কারণ তাদের সিমের গুণগতমান এবং ছাদে ভরপুর সেই কারণে তাদের ঘর থেকে এসে নিয়ে যায় মহাজনরা। কারণ এই সিমের উপরে প্রায় ৩০০ পরিবার নির্ভরশীল।
সুরজিৎ দে





