আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে এবার দিতে হবে ট্যাক্স, আয়কর রিটার্ন ফর্মে থাকবে পৃথক কলাম!
দু'বছর আগে অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে এভারেস্ট কান্তোর শেয়ারের দাম ছিল ২৭.৫৫ টাকা। তিন বছর পরে আজ সেই শেয়ারের দাম পৌঁছেছে ২৫৫ টাকায়। কোনও স্মল ক্যাপ শেয়ারের এমন উড়ান দেখে আশ্চর্য বাজার বিশেষজ্ঞরাও। তবে শেয়ারের দুনিয়ায় অসম্ভবও সম্ভব হয়, বলছেন তাঁরা। ২ ফেব্রুয়ারি ইন্ট্রাডে-র আগের ক্লোজিং থেকে স্টকটি ৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দু'দিনে এর মজুত বেড়েছে ৮ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশাল সুযোগ! এক টাকার এই সাধারণ নোট থাকলেই পাবেন ৭ লক্ষ টাকা
শেয়ার দুনিয়ায় এমন উড়ান চলতেই থাকে: শেয়ার বাজারের প্রতিটা স্কেল পূরণ করেছে এভারেস্ট কান্তো। ৫ দিন, ২০ দিন, ৫০ দিন, ১০০ দিন এবং ২০০ দিনের মুভিং অ্যাভারেজের উপর ট্রেড করছে এভারেস্ট কান্তো। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ৩৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই স্টকের বাজারদর। শুধু চলতি বছরেই বেড়েছে ১২.৭ শতাংশ। গত বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে কোম্পানির ১১ জন কর্তৃপক্ষের কাছে ৬৭.৩৯ শতাংশ বা ৭.৫৬ কোটি টাকার শেয়ার ছিল। একই সময়ে ৪২ হাজার ৪১৯ জন পাবলিক শেয়ারহোল্ডারের কাছে রয়েছে ৩২.৬১ শতাংশ বা ৩.৬৫ কোটি টাকার শেয়ার। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ০.৫৬ শতাংশ বা ৬.২২ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে।
১ লাখ থেকে ৯.২৫ লাখ টাকা: যদি কোনও বিনিয়োগকারী ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক লাখ টাকার এভারেস্ট কান্তোর শেয়ার কিনে থাকেন তাহলে আজ তা ৯.২৫ লাখ টাকা হয়ে গিয়েছে। কোম্পানির ব্যবসা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ফলে তাদের শেয়ারের চাহিদা উর্ধ্বমুখী বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: আপনিও কী এরকম লেনদেন করেন ? তাহলে হয়ে যান সাবধান...
এভারেস্ট কান্তোর প্রোফাইল: মূলত ধাতব পণ্য তৈরি করে এভারেস্ট কান্তো। তরল পেট্রলিয়াম গ্যাস এবং অন্যান্য গ্যাসের সিলিন্ডার এবং যন্ত্রপাতি তৈরি করাই এদের কাজ। শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও চুটিয়ে ব্যবসা করছে এই কোম্পানি। চিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ডেও নিজেদের তৈরি পণ্য বিক্রি করে এভারেস্ট কান্তো। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই স্টক নিয়ে উৎসাহিত।