আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দল যদি তাঁকে প্রার্থী না করে সে ক্ষেত্রে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন৷ সেই মতো মনোনয়নপত্রও জমা দেন দুধকুমার। আর সোমবার দলের তরফ থেকে তিনি পেলেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম ডি। যা ঘিরে তুমুল শোরগোল স্থানীয় রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, শেষমেশ দুধকুমার মণ্ডলকে ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী করে অভিযুক্ত নেতার হুঁশিয়ারির কাছে কি নতি স্বীকার করল বঙ্গ পদ্ম শিবির?
advertisement
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে তুমুল উত্তেজনা, বড়ঞায় রাতভর অবস্থানে অধীর..এবার কি হাইকোর্টে মামলা?
প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্য করার জন্যই একসময় শোকজ করা হয়েছিল দুধকুমার মণ্ডলকে। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘জেলা থেকে ব্লক কমিটি আমার সাথে আলোচনা না করে কমিটি গঠন করেছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক এবং কার্যকর্তাগণ আমাকে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা চুপচাপ বসে যান’। এর পরে পরেই দুধকুমারের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে শোকজ করা হয়।
আরও পড়ুন: আজই শেষ সুযোগ! মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেই…. সাগরদিঘিতে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড ৪
কিন্তু, অনুব্রত-হীন জেলাযর ময়ূরেশ্বরে ফের সেই দুধকুমারের উপরেই ‘আস্থা’ রাখলেন পদ্ম নেতৃত্ব। নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক টেলিফোনিক প্রতিক্রিয়ায় দুধকুমার বলেন, ‘‘সারা রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূম জেলাতেও শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আর ভেবেছিলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। সেই ১৯৮৮ সাল থেকে মানুষের ভালবাসা পেয়ে আসছি। গ্রামের মানুষজনের যে আমার উপরই আজও আস্থা আছে, তা ফের প্রমাণ করে দেব।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী