বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের অন্তর্গত আঙ্গারগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াম, নরসিংহপুর, খোদায়বাগান, বেহিড়া, ভেজেনা সহ ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের গ্রাম থেকে মহম্মদবাজার বা অন্যত্র যাওয়ার জন্য ময়ূরাক্ষী নদীর উপর থাকা অস্থায়ী রাস্তার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্ষায় নদীর জল বাড়লেই এই অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে যায়। প্রতিবছরের মতো এই বছরও দিন কয়েকের বৃষ্টিতে ময়ূরাক্ষী নদীর জল বেড়েছে এবং এই অস্থায়ী রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছে। এরপর গ্রামের মানুষ নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পাশাপাশি দুটি বাঁশের সেতু তৈরি করেন। সেই সেতু দিয়েই চলছে পারাপার।
advertisement
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! জামাইয়ের ছুরির কোপে মৃত্যু শাশুড়ির!
গ্রামের বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে এই ভাবেই অসুবিধার মধ্যে নিজেদের জীবনযাপন করছেন। বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে যাওয়ার পর তাঁদের যাতায়াত সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে দাঁড়ায় যে হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আগে ব্লকের তরফ থেকে একটি নৌকা দেওয়া হয়েছিল বর্ষায় যাতায়াত করার জন্য। সেই নৌকাটিও ভেঙে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আপাতত তাই বাঁশের সেতু তৈরি করে নদী পারাপার করছেন তাঁরা। তবে নদীর জল আরও বাড়লে, কীভাবে পারাপার করা যাবে, তা নিয়েও তাঁদের সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন- দুবরাজপুরে বাড়িতে বাড়িতে হানা পৌরসভার স্পেশাল টিমের! কারণ জানলে অবাক হবেন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, "আমরা নিজেরাই এই বাঁশের সেতু দুটি তৈরি করেছি। কারণ এই বাঁশের সেতু তৈরি করা না হলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে, বাজার ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে।" পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছেন, একটি স্থায়ী সেতুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে আঙ্গার গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনালী বাগদী জানিয়েছেন, নদীর জল কমলে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে।
Madhab Das