আরও পড়ুন: মধ্যরাতের আগুনে পুড়ে ছাই পাটের গুদাম, ক্ষতি ৫০ লক্ষ টাকা
পটলপুর ছেড়ে গ্রামবাসীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার কারণ হল হাতি। খাদ্যের সন্ধানে রাতবিরেতে প্রায়ই হাতির দল ঝাড়খণ্ড থেকে এই গ্রামে ঢুকে পড়ে। এরপর শুরু হয় তাদের তাণ্ডব। চাষের জমি তছনছ করার পাশাপাশি বাড়িগুলিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় হাতি। তাদের এই তাণ্ডবের ভয়েই ঝাড়খণ্ড সীমান্তের গ্রাম ছেড়ে সিউড়ি, মহম্মদবাজারে পালিয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ। বর্তমানে মাত্র দুটি পরিবার অসহায় অবস্থায় কোনরকমে এই গ্রামে প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস করছে।
advertisement
বীরভূম জেলার রাজনগর থানার রাজনগর-গাংমুড়ি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পটলপুর গ্রাম৷ একেবারে ঝাড়খণ্ড সীমান্তে পাহাড়ের পাদদেশে তার অবস্থান। পটলপুর থেকে ঝাড়খণ্ডের দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। অন্যদিকে বয়ে গিয়েছে সিদ্ধেশ্বরী নদী ও বিস্তীর্ণ জঙ্গল। কিন্তু একসময় সবুজ ঘেরা এই গ্রাম হাতিদের টার্গেট হয়ে দাঁড়ায়। খাদ্যের সন্ধানে প্রায় প্রতিদিনই ঝাড়খণ্ড থেকে ২০-২৫ জনের হাতির দল এখানে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে। এখানকার বাসিন্দাদের বাস্তবিক প্রাণ সংশয় দেখা যায়। প্রাণের ভয়ে অনেকেই বীরভূমের অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ আবার পটলপুর ছেড়ে পাশের গ্রাম জয়পুরে আশ্রয় নিয়েছে।
২০০৮-০৯ সাল থেকেই ধীরে ধীরে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন এখানকার বাসিন্দারা৷ বর্তমানে গোটা গ্রামটাই খাঁ খাঁ করছে। এই পরিস্থিতির জন্য মূলত বন দফতরের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছে পটলপুরের মানুষ। বর্তমানে যে দুটি পরিবার এই গ্রামে থাকে সেখানে তিনটি শিশু আছে। সন্ধ্যের অন্ধকার নামলেই শিশুদের নিয়ে প্রাণের আতঙ্কে কুঁকড়ে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। হাতির এই তাণ্ডবের কারণে পটলপুরের জমি জলের দরেও কিনতে চায় না কেউ!
শুভদীপ পাল