অনুর্বর জায়গাকে উর্বর করে জৈব সার ব্যবহার করে এখানে কুমড়ো, কড়লা, ঢেঁড়স, কচু, ঝিঙে, লাফা, শসা, পোয়শাক, আদা, আম ও কলা সহ আরও অনেক কিছু পুষ্টিকর সবজি ও ফল এই বাগানে উৎপন্ন হচ্ছে। দুবরাজপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক জানান, মূল উদ্দেশ্য ওখানকার উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুদের পৌঁছে দেওয়া। এছাড়াও যারা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তাদের এই উৎপাদিত ফসল যাতে বিনামূল্যে দেওয়া যায় সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
এছাড়াও উৎপাদিত ফসল স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের কাজে লাগাবার চিন্তাভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য চাষিদেরও জৈব সারের প্রতি আকৃষ্ট করাও তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। মিশন নির্মল বাংলার অংশ হিসাবে দুবরাজপুর শহর ও হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্বচ্ছ রাখতে যে কঠিন বর্জ্য পদার্থ (অর্থাৎ এলাকার রাস্তায় ও ড্রেনে থাকা আবর্জনা) রয়েছে তাদের প্রসেসিং করে জৈব সার উৎপাদন করা হচ্ছে এবং তা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে পুষ্টিকর ফসল। এছাড়াও পুকুরে মাছ চাষ, পশু পালন হবে, তসর শিল্পের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা আটকে অবৈধ দোকানপাট! তুলে দিল পৌরসভা
স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারা যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে দুবরাজপুর ব্লকের পক্ষ থেকে। কোটাশুর এনভাইরালমেন্টাল রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সদস্য নয়ন হাজরা জানান, দুবরাজপুর শহর ও হেতমপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে ড্রেন ও রাস্তা নোংরা নিয়ে এসে জৈব সার তৈরি করে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বাঁশলৈ নদীর সেতু পাথর কুচি দিয়ে সংস্কার! পাকাপোক্ত সংস্কারের দাবি
বর্তমানে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের শাকসবজি খেয়ে মানুষ রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে পুরোপুরি জৈব সার দিয়ে তৈরি হচ্ছে সবজি যা মানুষের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এখন এখানে যেসব চাষ হচ্ছে তা ছাড়াও ব্রাহ্মণী শাক, আম আদা, কালো আদা, পুদিনা, কালমেঘ সহ আরও অনেক কিছু আগামী দিনে লাগানো হবে।
Madhab Das