আরও পড়ুন: ‘বড়’ রায় সুপ্রিম কোর্টের, বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অধিকার সমকামী দম্পতিদের
বর্ধমানের নীলপুর গ্রাম থেকে বীরভূমের শান্তিনিকেতন লাগোয়া সুরুল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন ভরতচন্দ্র ঘোষ (ইংরেজরা তাঁকে ‘সরকার’ পদবি দেয়)। তাঁকে সরকার বাড়ির প্রাণপুরুষ বলা হয়। তাঁরই পুত্র কৃষ্ণহরি সরকার জমিদার বাড়িতে আনুমানিক ২৮৮ বছর আগে প্রথম এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন।
advertisement
সেই থেকেই প্রথা মেনে শান্তিনিকেতনের সুরুলের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এই পুজোর বিশেষত্ব হল গ্রামের সবাই মিলে সপ্তমীর দিন নবপত্রিকা স্নান করাতে যান। এছাড়াও পুরনো রীতি অনুযায়ী সপ্তমীতে চালকুমড়ো, অষ্টমীতে ছাগল ও নবমীতে আখ বলি দেওয়া হয়।
সুরুলের সরকার বাড়ির দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনওরকম ছাঁচ ব্যবহার করা হয় না। মাটি দিয়ে হাতে তৈরি প্রতিমাকে ডাকের সাজে সাজানো হয়। এখনও পুজোর দিন নাটমন্দির সাজানো হয় প্রাচীন বহুমূল্যের বেলজিয়াম কাচের তৈরি ঝাড়বাতি দিয়ে। যার অপরূপ দৃশ্য নজর কাড়ে। ঐতিহ্যবাহী সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে বাইরে থেকে বহু মানুষ পুজোর চারদিন ভিড় করেন। সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য বিশাল বাড়িটি মানুষকে আজও আকৃষ্ট করে। এই বাড়ির জৌলুশ আগের মতই আছে।
সৌভিক রায়