তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন সুপ্রিয় প্রথম দুর্গামূর্তি বানিয়েছিল। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার ফাঁকেও একটি দুর্গা প্রতিমা বানায় সে। ২০২২-এ তার তৈরি সেই প্রতিমা মণ্ডপে রেখেছিলেন মুরারই কালীতলা সর্বজনীন দুর্গামন্দির কমিটির সদস্যরা। ছোট্ট সেই দুর্গা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। দুর্গা প্রতিমাটি কাঁচের একটি বাক্সে মন্দিরে রাখা আছে এখনও। সে বার এই খুদে শিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছিল পুজো কমিটি।
advertisement
আরও পড়ুন: অষ্টমীতে পাঞ্জাবি চাই…! পুজোয় পাঞ্জাবির কদর বাড়ছে বীরভূমে
লকডাউনের সময় প্রতিমা তৈরির বরাত না পেয়ে কষ্টের মধ্যে সংসার চলছিল তাঁদের। ওই সময় বছর সুপ্রিয় সরস্বতী ঠাকুর তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাঁচটি ছোট্ট সরস্বতী প্রতিমা বানিয়ে মাত্র২০-৫০ টাকায় বিক্রি করে বাবার হাতে টাকা তুলে দিয়েছিল সে। শুধু পরিবার নয়, তার প্রতিভা দেখে অবাক হয়েছিলেন গ্রামের সকলে। সেই থেকে মাটির ছোট প্রতিমা ও খেলনা গড়ে বাবার হাতে তুলে দেয় সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন: পুজোর থিম বাংলার চালচিত্র, জানুন কোথায়
সুপ্রিয় বলে, ‘‘ভবিষ্যতে বড় প্রতিমা শিল্পী হতে চাই। শুনেছি, এ রাজ্য থেকে বিদেশে ছোট প্রতিমা যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রতিমা তৈরি করব । একদিন আমার তৈরি ছোট প্রতিমা বিদেশে যাবে। আমি এবার যে প্রতিমাটি গড়েছি সেটিও ৩০ ইঞ্চি লম্বা।’’
তার বাবা বলরাম দাস বলেন, ‘‘আমার কাজ দেখে ও প্রতিমা তৈরি করতে শিখেছে ছেলে। আমাকে প্রতিমা গড়তে সাহায্য করছে। ওর গড়া দুর্গা প্রতিমা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। ওকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেছি। লেখাপড়ার ফাঁকে এই কাজ করতে বলেছি। এখন পড়াশোনা না করলে সফল হওয়া যাবে না।’’
সৌভিক রায়