আরও পড়ুন: এভাবে মুহূর্তে শেষ তিনটি তরতাজা প্রাণ! কী ঘটল দিনহাটায়
সদর শহর সিউড়ির বড় বড় পোশাক দোকানগুলো এই বছর কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে। চৈত্র সেলের জমজমাট বাজার এবার না লাগায় ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত হতাশ। অনেকেই সব পুঁজি লাগিয়ে চৈত্র সেলের জন্য মাল তুলেছিলেন। তার প্রায় কিছুই বিক্রি না হওয়ায় কী করে বিনিয়োগ করা টাকা বাজার থেকে তুলবেন তা তাঁরা ভেবে উঠতে পারছেন না। পাবেন আগামী কয়েকদিনে ইদের বাজার যদি জমে ওঠে তবে কিছুটা হলেও ধাক্কা সামলানো যাবে। সেই ভরসাতেই দিন গুনছেন পোশাক বিক্রেতারা।
advertisement
আরও দেখুন: উচ্চশিক্ষিত MA পাস ফেরিওয়ালা
সিউড়ির বাসস্ট্যান্ড, কোর্ট বাজার, মসজিদ মোড় সংলগ্ন এলাকায় পোশাকের দোকানগুলি প্রতিবছরই চৈত্র সেলের জন্য পৃথকভাবে সেজে ওঠে। দোকানের সামনে বা রাস্তার ধারে আলাদা করে সেলের স্টল খোলা হয়। কিন্তু এই বছর সেই চেনা ছবিটাই উধাও। অনেকে স্টল খোলেননি আর যারা স্টল খুলেছেন সেখানেও আশানুরূপ ভিড় নেই। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এই বছর বিক্রিবাটা অন্যবারের তুলনায় অনেকটা কম। তাঁদের দাবি, অন্যান্য বছর চৈত্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দোকানে ভিড় লেগে যায়। সেলের বাজারে মূলত সন্ধের দিকে ক্রেতাদের ভিড় হয়। কিন্তু এবছর সেই অর্থে ক্রেতার দেখাই মেলেনি সারা মাস ধরে। বাজারে ক্রেতাদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আমজনতার রোজগারের অভাব এবং মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তাঁদের মতে, গ্রামের মানুষের হাতে এবছর খুব একটা অর্থ আসেনি।
একশো দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অর্থের টান পড়েছে নিম্নবিত্ত শ্রেণির পকেটে। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও রকেট গতিতে বাড়ছে। তার ফলে পোশাকের দামও অনেকটা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যে শ্রেণির হাতে অর্থ আছে তারা বড় শহরে বা বড় শপিংমলে বাজার করছে। কিন্তু যাদের হাতে অর্থ নেই তারাই মূলত এই চৈত্র সেলের বাজারের মূল ক্রেতা। সব মিলিয়ে এবারের চৈত্র সেল ব্যবসার দিক থেকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
শুভদীপ পাল