তিনি পাকুড় পাতায় লিফ কার্ভিং করে ফুটিয়ে তুললেন কবিগুরুর চিত্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অভিনব পদ্ধতিতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এমন পথ বেছে নিয়েছেন বীরভূমের বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক শঙ্কর বাগচী। ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত। তিনি কর্মসূত্রে বীরভূমের সাঁইথিয়ার লাউতোরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। যদিও তাঁর স্থায়ী ঠিকানা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার টুনি ঘাঁটায়।
advertisement
বীরভূমের বাজিতপুর স্কুলের এই শিক্ষক বছরের বিভিন্ন সময় এমন নানান ধরনের কারুকার্য করে থাকেন। স্কুলকে সাজিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি৷ তবে তার এই কবিগুরুর লিফ কার্ভিংয়ের ক্ষেত্রে আলাদা তাৎপর্য রয়েছে।
তিনি তার শিল্পকলার মধ্যে লিফ কার্ভিং শুরু করেছিলেন করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সময়, ২০২০ সালে। সেই সময় তিনি প্রথম যে লিফ কার্ভিং করেছিলেন সেটিও ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। অর্থাৎ তার লিফ কার্ভিংয়ে হাতে খড়ি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দিয়েই। যে কারণে এবার তিনি ১৬১তম রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নতুন করে একটি কবিগুরুর প্রতিকৃতি তুলে ধরলেন পাকুড় পাতায়।
পাতা কেটে এইভাবে প্রতিকৃতি তৈরি করার জন্য প্রথমে ওই শিক্ষক একটি পাকুড় পাতার উপর রবীন্দ্রনাথের ছবি এঁকে নেন। তারপর ধীরে ধীরে ধৈর্য ধরে সেই পাতা কাটার কাজ করেন। অসীম ধৈর্যের সঙ্গে নিখুঁতভাবে পাতার উপর এই ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করার জন্য তাঁকে কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হয়।
এইভাবে লিফ কার্ভিং করার জন্য তিনি অনুপ্রেরণা পান সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই। জীবনের প্রথম লিফ কার্ভিং যখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তখন তা ভাইরাল হয়। এরপরেই এই কাজ আরও বেশি করে শুরু করেন তিনি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লিফ কার্ভিং ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মনীষীদের লিফ কার্ভিং রয়েছে তার ঝুলিতে।
Madhab Das