যাত্রাপালা নাহলেও রীতিনীতি মেনে রাস উৎসবের সাড়ম্বর রয়েছে এই গ্রামে। এই গ্রামের রাস উৎসবের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের থেকে জানা গিয়েছে, ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই গ্রামে রাস উৎসব পালন করা হয়ে আসছে। রাস পূর্ণিমার দিন মূল মন্দির থেকে রাধা কৃষ্ণ যুগলকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় সেবায়েতের বাড়িতে। সেখানে হরিনাম সংকীর্তন এবং রাস ভোগের পর মধ্যাহ্নে ভক্তদের জন্য ভোগের আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ থমথমে সিউড়ির বাঁশজোড়! যুবক খুনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের
মধ্যাহ্নের এই ভোগে থাকে ভাত, ডাল, একটি তরকারি পায়েস এবং মিষ্টি। প্রায় ২০০০ ভক্তদের মধ্যাহ্নে ভোগের আয়োজন থাকে। এরপর ফের রাধা কৃষ্ণ যুগলকে মন্দিরে আনা হয় বিশ্রামের জন্য এবং সন্ধ্যাবেলায় রাসের জন্য আনা হয় রাস মঞ্চে। এখানকার এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে একদিনের জন্য একটি মেলা বসে। রাস উৎসব দেখতে এবং সেই মেলা দেখার জন্য এলাকার বহু মানুষের আগমণ হওয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকেও হাজার হাজার মানুষ এখানে উপস্থিত হন।
আরও পড়ুনঃ ৩১০টি নকল সোনার কয়েন উদ্ধার বীরভূমে
দিনভর এখানকার বাসিন্দারা এই রাস উৎসব এবং এই রাস মেলার আনন্দ উপভোগ করেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার চন্দ্রগ্রহণ থাকার কারণে পুজো উদ্যোক্তারা সকাল থেকেই ব্যস্ততা শুরু করেছেন তাদের রীতিনীতি পালনের জন্য। সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় রাধাকৃষ্ণ যুগলকে এবং চন্দ্রগ্রহণ লাগার আগেই ভোগ দেওয়ার যে পালা রয়েছে তা সম্পূর্ণ করা হয়।
Madhab Das