আরও পড়ুন: ভৈরব সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ! কতদিন বিকল্প পথে যেতে হবে জেনে নিন
প্রত্যেকদিন ৪০ থেকে ৫০ কেজি ফুলের মালা জমা হয় মন্দিরে। এতো বিপুল ফুল কী করবেন তা নিয়ে চিন্তিত ছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীকালে বীরভূমের মল্লারপুরে অবস্থিত নাইসুভা নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সেই সব ফুল, বেলপাতা থেকে জৈব সার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সপ্তাহের দু’দিন মন্দির থেকে গাড়ি করে এই ফুল, বেলপাতা নিয়ে যাওয়া হয় মল্লারপুরের গোয়ালাতে।
advertisement
সেখানে ফুল এবং বেলপাতা থেকে আলতা, সিঁদুরের কৌটো, শাঁখা সমস্ত কিছু সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর চার ঝুড়ি ফুলের সঙ্গে এক ঝুড়ি গোবর মিশ্রণ করে ৩৫ দিন রাখা হয় একটি জায়গায়। পরে সেই মিশ্রণে কেঁচো ছেড়ে আরও এক মাস রাখা হয়। এর পরে সেই মিশ্রণটিকে রোদে শুকিয়ে তৈরি হয় জৈব সার।
এই জৈব সার চাষিদের মধ্যে মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই উদ্যোগে খুশি এলাকার কৃষকরা। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই তারাপীঠে পালিত হয়েছে ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা। সেই অমাবস্যায় মন্দির থেকে প্রায় ১০ কুইন্টাল ফুলের মালা মা তারাকে অর্পণ করা হয়। সেগুলি থেকেও জৈব সার তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সৌভিক রায়