বীরভূমের এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে এলাকাভিত্তিক জলকমিটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হল। এই কমিটি জল সংরক্ষণ এবং জলের অপচয় রোধের বিষয়টি দেখভাল করবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা আধিকারিক সোমনাথ কুণ্ডু জানান, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত স্তরে এই সংক্রান্ত একটি কমিটি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেটিকে আরও ছোট ছোট আকারে জলবন্ধু বা জল কমিটি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি, উপাচার্য নিয়োগের আইনে বড় পরিবর্তন আনছে রাজ্য
আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে জল জীবন মিশনের অধীনে জেলার প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনায় এখনও পর্যন্ত জেলায় সাড়ে আট লাখ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। তার জন্য জেলাজুড়ে জনস্বাস্থ্য দফতর টেন্ডার ডেকে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কোথাও সৌরচালিত পাম্প সেটের মাধ্যমে জল পৌঁছে যাচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। কিন্তু এরই মাঝে দুটি সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে জল সরবরাহকারী সংস্থার কাছে। নজরদারির অভাবে বহু জায়গায় জল অপচয় হচ্ছে। আমজনতার মধ্যেও সচেতনতার অভাব। কলের মুখ খোলা থাকছে। কোথাও ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে সৌর চালিত প্যানেল। ফলে খরচ করে সদ্য লাগানো জলের সংযোগ শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ছে।
এই অবস্থায় জলের অপচয় রোধ এবং প্রকল্পের যন্ত্রাংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা গেলে সমস্যার সমাধান হবে না বলে প্রশাসনিক কর্তাদের আশঙ্কা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলার ১৬৭ টি পঞ্চায়েতে গ্রামীণ জল সুরক্ষা কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। নিচু স্তরে নজরদারি চালানোর জন্য জলবন্ধু বা জলকমিটি গঠন করার নির্দেশও এসে পৌঁছেছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেউ জল অপচয় করলে তাকে প্রথমে সতর্ক করা হবে। তাতেও কাজ না হলে আইন মেনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শুভদীপ পাল