পাশাপাশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের অধিকাংশ অভিভাবক সকাল থেকেই বিভিন্ন কাজে বেরিয়ে যান। তাই তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এমন আবেদন জানানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। আশ্রম কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সেই আশ্বাসে এখনো পর্যন্ত আশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনো রকম সাহায্য না পাওয়ার ফলে তাদের পক্ষে আর এই আশ্রম চালানো সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যে আশ্রম কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়াদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ একই রাতে দুই থানা এলাকায় উদ্ধার অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র! গ্রেফতার দুই
বর্তমানে এই আশ্রমের পড়ুয়া সংখ্যার ২০০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০-এ। তবে তারা এখনো এই আশ্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী, কেবলমাত্র সরকারি কিছু সাহায্যের অপেক্ষায়। এমনিতে এখন আশ্রম চলছে স্থানীয় বেশকিছু সহৃদয় মানুষের সহযোগিতায় এবং বেশ কিছু সংস্থার সহযোগিতায়। কিন্তু এইভাবে কতদিন তারা চালাতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা যত দ্রুত সম্ভব সরকারি সাহায্যের জন্য যাতে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার আবেদন রেখেছেন প্রশাসনের কাছে।
আরও পড়ুনঃ গড়ে উঠবে নতুন বীরভূম! কর্মশালা জেলা প্রশাসনের
এর পাশাপাশি যেহেতু রাষ্ট্রপতি হিসাবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মু প্রতিনিধিত্ব করছেন তাই তাদের আশা এখন আরও উজ্জীবিত হচ্ছে। আশ্রমের এই বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন, তারা সত্যি করেই খুব কষ্টের মধ্যে চালাচ্ছেন। কিন্তু জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার থাকার কারণে সরকারি সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। আমাদের তরফ থেকে সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে তারা সরকারি সুবিধা পায়। আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি তারা সরকারি সুবিধা পেতে শুরু করবেন এবং এই আশ্রম আগের মতই চলবে।
Madhab Das