বুধবার দুর্যোগের মধ্যেও সিউড়ির কাছে তসরকাটা জঙ্গলের মাঝে দলীয় কর্মীদের নিয়ে শ্যুটিং করলেন শতাব্দী। ঘটনাচক্রে বীরভূমের তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায় এবারও তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী। তিনি জানালেন, “নেটমাধ্যমে এটাই প্রচারের চ্যালেঞ্জ। নেটমাধ্যমের সঙ্গেই এলাকার প্রতিটি জনসভায় এই থিম সং বাজবে।” গত কয়েকদিন ধরেই বাংলা দুবরাজপুরের সাহাপুরে কর্মীদের বাইকে চেপে তিনি ছুটছেন। রামপুরহাটের বনহাটের রাস্তায় কর্মীদের মাঝে সাংসদ। বুধবার তো মুখভার হয়ে থাকা আকাশ আর ঝিরঝির বৃষ্টির মাঝেই তসরকাটার জঙ্গলে সাত সকালে হাজির সাংসদ।
advertisement
এখানেও তাঁর কাছে ‘কল টাইম’। মানে সঠিক সময়ে হাজির হতে হবে। সেখানে হুড খোলা জিপে তৃণমূলের পতাকা হাতে শতাব্দী আর তাঁর সঙ্গে কয়েকশো বাইকে দলীয় কর্মীরা তৃণমূলের পতাকা হাতে। পরিচালক শতাব্দী তাঁর পরিচিত মাঠে যেন আরও সাবলীল। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কর্মীদের জানালেন, “ওয়েদার খুব খারাপ। আমার কথা মন দিয়ে শুনুন।যেমন বলছি তেমন করুন।”
আরও পড়ুন: মা বলিউডের সফল নায়িকা! কেরিয়ারের শুরুতে কস্টিউমটুকু পাননি ছেলে, বলুন তো তিনি কে
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যের সঙ্গে সম্পর্কের মৃত্যু? সিঙ্গল ফাদার হয়ে মেয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন অভিষেক
শতাব্দী রায় বলেন, “এবারে প্রচারের ধরনটা একটু পাল্টালাম। আমাদের দলের কাউন্সিলর, বিধায়ক, কর্মী সবাইকে নিয়েই এই শ্যুটিং চলছে। আমি ইচ্ছা করলেই পেশাদার লোক এনে শ্যুটিংটা করতে পারতাম। কিন্তু তাতে কর্মীদের এই যে উৎসাহ দেখছি, তা পেতাম না।”
ক্যামেরা করছে পেশাদার লোক। শতাব্দীর রচনায় সুর দিয়েছেন পীযূষ।সেই সুরেই বুধবার দিনভর তিলপাড়া, সিউড়ির স্টেডিয়াম থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শ্যুটিং করলেন তৃণমূল প্রার্থী। শতাব্দী জানালেন, “আমি বীরভূমকে বাদ দিয়ে, নিজের কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে কখনও শ্যুটিং করি না। এবারও এপ্রিলে একটা সিনেমার জন্য ডেট চেয়েছিল। আমি তাতে রাজি হইনি। আসলে আমি এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। তাই এদিনের এই শ্যুটিংও তো আমার প্রচারের অঙ্গ হিসাবেই থেকে গেল।”
সৌভিক রায়