রাস উৎসবকে ঘিরে দিনভর পূজা অর্চনার পাশাপাশি চলে হরিনাম সংকীর্তন। এছাড়াও এখানে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে যা চলবে আট দিন ধরে। বুধবার থেকে শুরু হবে কীর্তন গান, ভক্তিমূলক লোক গানের অনুষ্ঠান, মানব পুতুল নাচ, পাড়ার শিশুদের নিয়ে নিত্য ও গানের অনুষ্ঠান, বাউল ইত্যাদি। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। শেষ দিন এখানে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সিধু।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জমি নিয়ে বিবাদ! দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে মৃত এক
উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের রাস উৎসব এবং লোকসংস্কৃতি মেলার এই বছর ২১ বছরে পা রাখল। দিন দিন এই রাস উৎসব এবং লোকসংস্কৃতি মেলার প্রসার ঘটছে। তারা এই রাস উৎসব এবং লোকসংস্কৃতি মেলার মধ্য দিয়ে সেই সকল জিনিসগুলিকে তুলে ধরছেন যেগুলি এখন লুপ্তপ্রায়। সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের যুগে তারা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন লোকসংস্কৃতিকে ধরে রাখার। তাদের বিশ্বাস এই ধরনের সাংস্কৃতিক মেলার মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি পুনর্জীবিত হবে।
আরও পড়ুনঃ যাত্রা বন্ধ হলেও সাড়ম্বরে রাস উৎসব কেউবোনা গ্রামে
রবীন্দ্রপল্লীর এই রাস উৎসব এবং লোকসংস্কৃতি মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে রবীন্দ্রপল্লী আদি সার্বজনীন কালী মন্দির কমিটির তরফ থেকে। এখানে ধুমধাম করে যেমন প্রতিবছর কালীপুজোর আয়োজন করা হয় ঠিক সেই রকমই ধুমধাম করে রাস উৎসব ও লোকসংস্কৃতি মেলার আয়োজন করা হয়। সিউড়ি শহরে অন্য কোথাও এই ধরনের উল্লেখযোগ্য রাস উৎসব বা লোক সংস্কৃতি মেলা হয় না।
Madhab Das