দেশের ২৭ টি জায়গায় ৫০৮ টি স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে আওতায় সংস্কারের কাজ হবে। তারজন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৪ হাজার ৪৭০ হাজার কোটি টাকা। এদিন ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ছিলেন, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এই রাজ্যে ৩৭টি রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে। বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় সংস্কার করা হবে ঐতিহ্যবাহী বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনকেও।উল্লেখ্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই স্টেশন ব্যবহার করতেন। শেষবার অসুস্থ কবি এই স্টেশন থেকেই ‘প্রাণের আরাম’ শান্তিনিকেতন ছেড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর শেষ যাত্রার রেলের বিশেষ কামরাটি এখনও স্টেশন সংলগ্ন গীতাঞ্জলি রেল সংগ্রহশালায় রাখা রয়েছে। এছাড়া, জাতীর জনক মহাত্মা গান্ধী এই স্টেশন ব্যবহার করেছেন।
advertisement
শান্তিনিকেতনে এসে কবিগুরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর। এমনকী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এই স্টেশন ব্যবহার করেছেন। তিনিও শান্তিনিকেতনে এসে বিশ্বকবির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। একই ভাবে বিপ্লবী পান্নালাল দাশগুপ্ত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায় এই স্টেশন ব্যবহার করেছেন৷ বর্তমানে এই স্টেশন ব্যবহার করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাই আর পাঁচটা স্টেশনের থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনে গুরুত্ব অনেক বেশি৷ তাই ২২ শে শ্রাবণ কবির প্রয়াণ দিবসের আগে এই স্টেশকে অমৃত ভারত প্রকল্পে আওতায় সংস্কারের ঘোষণায় খুশি বীরভূমবাসী৷
এদিন, বোলপুর স্টেশনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর সহ দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার৷
সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “এই স্টেশনের গুরুত্ব আকাশ ছোঁয়া৷ কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ যাত্রা এখান থেকে। আরও বিশিষ্টরা এই স্টেশনে নেমেছেন। তাই আজ আমি খুব খুশি এই স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হবে ঘোষণায়।”
Subhadip Pal