দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিচ্ছেন পড়ুয়াদের। খাদ্যশষ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে নানান নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে পড়ুয়াদের সামনেও। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার সিউড়ির আব্দারপুরে অবস্থিত এফসিআই গুদামঘর পরিদর্শনে আসেন কড়িধ্যার যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউটের নবম ও দশম শ্রেণির ৩০ জন পড়ুয়া। তাঁদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকও এসেছিলেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: কৃত্রিম পা নিয়ে মেলেনি চাকরি! থানায় আসা মানুষদের অভিযোগপত্র লিখেই আয় অনির্বাণের
এ দিন কয়েকঘণ্টা ধরে পড়ুয়াদের প্রত্যেকটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে বস্তা রাখার পদ্ধতি, বস্তায় আর্দ্রতার পরিবর্তন, পোকামাকড়ের আক্রমণের হাত থেকে শষ্যকে বাঁচানোর পদ্ধতি, গুণগত মান পরীক্ষাগার ঘুরিয়ে দেখান আধিকারিকরা। প্রত্যেকটি বিষয় বিশ্লেষণও করেন। মিড ডে মিলের বা রেশনের চাল সম্পর্কে তাদের মধ্যে যেন কোনও ধোঁয়াশা না থাকে, তার জন্য প্রশ্নোত্তরেরও সুযোগ দেওয়া হয়৷
এফসিআইয়ের সিউড়ি গুদামঘরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার মহুয়া দাস জানান, “তাদের চাল কোথা থেকে কী অবস্থায় আসছে, সেটা পড়ুয়াদের জানার অধিকার আছে ৷ পাশাপাশি এই খুদে পড়ুয়াদের মধ্যেই কেউ কেউ হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের দফতরে কাজে যোগ দেবে, তাদের আগাম একটা প্রাথমিক ধারণাও দিয়ে রাখা গেল ৷ পড়ুয়াদের সব কিছু বিশদে জানাতে পারে আমরাও অত্যন্ত খুশি।”
আরও পড়ুন: মা আর নেই! তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে মেয়ে যা করলেন… রইল অনুপ্রেরণার গল্প
বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া শান্তি লোহার বলেন, “পুরও বিষয়টাই আমাদের কাছে নতুন। খাদ্য শষ্যের মজুত ও সংরক্ষণের ব্যাপারে অনেক নতুন বিষয় আমরা জানতে পারলাম। যেটা আমরা প্রর্যেকদিন খাই, সেটা কোথা থেকে কিভাবে আসে, সেটা আজ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। এমন সুযোগ পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে।”
পরিদর্শনে পড়ুয়াদের সঙ্গে আসা শিক্ষক সুমিত ঘোষ জানান, “আমাদের পড়ুয়ারা অধিকাংশই গ্রামীণ এলাকা থেকে আসে৷ মাঠে চাষ দেখতে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু মাঠে উৎপন্ন ফসল কিভাবে বস্তাবন্দী হয়ে আমাদের কাছে আসে, সেই মাঝের পথটা তাদের অজানা ছিল। এই কর্মসূচি তাদের সামনে অনেকটাই আলো ফেলতে সক্ষম হয়েছে৷ এর ফলে পড়ুয়াদের বিকল্প পাঠের প্রতিও আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।”
শুভদীপ পাল