গাছের শুকনো পাতা,ফল,ফুল এবং কাপড়ের টুকরো নেট দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ফুল।বর্তমান সময়ে উৎসব অনুষ্ঠানের ডেকরেশনে দারুণভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ফুল।কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি বোম্বের মত শহরে এই ফুলের চাহিদা দারুন।সহজলভ্য অল্প মূল্যের কাঁচামাল শৈল্পিক ছোঁয়ায় হয়ে উঠছে অনন্য। সাধারণ গৃহবধূ মহিলারা এই কাজ শিখে ভাল আয়ের সুযোগ। সোসাইটি সেক্রেটারি মালা ভাদুড়ি রায়চৌধুরী আমাদের জানান মূলত তিনি এলাকার বিভিন্ন মহিলাদের ড্রাই ফ্লাওয়ার কীভাবে তৈরি হয় তার প্রশিক্ষণ দেন। আর এই ড্রাই ফ্লাওয়ার তৈরি হয় ভুট্টার খোসা,বিভিন্ন ধরনের ফুল,বিভিন্ন ধরনের ফলের বীজ থেকে।আর এই সমস্ত উপকরণ দিয়ে মূলত তৈরি হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফুল,রাখি পূর্ণিমার জন্য রাখি,গলার গহনা থেকে শুরু করে কানের দুল।
advertisement
আরও পড়ুন : যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! এমনটাই করে দেখাচ্ছে বীরভূমের মেয়ে শুভমিতা
এখন পর্যন্তমালা ভাদুড়ি রায় চৌধুরীর কাছে প্রায় প্রত্যেকদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন এই কাজ করেন। এর পাশাপাশি প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাদের তৈরি এই গহনা এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পৌঁছে গেছে দিল্লি,কলকাতা,নেপাল,ভুটান আন্দামান পর্যন্ত।এমনকি জার্মানিতেও তাদের এই সমস্ত ফুলের তোড়া পৌঁছে গেছে বিজ্ঞান মঞ্চের হাত ধরে। মূলত অর্ধবয়স্ক এবং বয়স্ক মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই উদ্যোগ বলে জানা যায়।
তাদের তৈরি এই জিনিসপত্র এখনও অবদি পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন বিশিষ্টদের কাছে।যেমন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে এই ফুলের তোড়া।পাশাপাশি দিল্লি সিনেমা বিভিন্ন আর্টিস্টদের এই ফুলের তোড়া দেওয়া হয়েছে।বিভিন্ন সাহিত্যিককে দেওয়া হয়েছে ফুলের তোড়া।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পীদের এই ফুলের উপহার দেওয়া হয়েছে বলেছে বলে জানা যায়।এছাড়াও রূপা গাঙ্গুলী,মমতার শংকর এবং বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীদের এই ফুলের তোড়া দিয়ে এখনওপর্যন্ত সম্মান জানানোর জন্য।
সৌভিক রায়